কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের জীবনের বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে গিয়েছিলেন হুগলির চন্দননগরে। চন্দননগরের পাতাল বাড়িতে বসে তিনি তার অনেক উপন্যাস ও রচনা করেছেন। ‘বউ ঠাকুরানীর হাট’ উপন্যাস তিনি রচনা করেছিলেন পাতাল বাড়িতে বসেই। সেই সময়তেই চন্দননগরের একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন দোকানের মিষ্টি আসত তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন: এ কী অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের! দেখলে চোখ কপালে উঠবে
advertisement
কথিত ইতিহাস অনুযায়ী চন্দননগরের সূর্য মোদক এর মিষ্টি ছিল তাঁর খুব প্রিয়। এক বিশেষ সন্দেশ যার নাম মতিচুর সন্দেশ তার নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নামকরণের তাৎপর্য রয়েছে বিশেষ , এই সন্দেশ হাতে নিলেই তা মুক্তোর মতন চূর্ণ হয়ে যায়। সেই থেকেই কবিগুরু নাম দিয়েছিলেন এই সন্দেশের মতিচুর সন্দেশ।
অতীতের সেই সময় থেকেই এখন পর্যন্ত ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে নিয়ে আসছে চন্দননগরের সূর্য মোদকের মতিচুর সন্দেশ। পাঁচ প্রজন্ম পেরিয়ে দোকানের বর্তমান প্রজন্ম এখনও পর্যন্ত ধরে রেখেছে সেই মিষ্টির ঐতিহ্য। পুরাতন প্রথা মেনেই এখনো দুধ ক্ষীর দিয়ে তৈরি হয় এই মতিচুর সন্দেশ।
আরও পড়ুন: বিপুল ব্যয়ে তৈরি বিনোদন পার্ক, এক বছরেই যা অবস্থা, দেখলে ভিড়মি খেতে বাধ্য হবেন
দোকানের বর্তমান মালিক ভাগ্যশ্রী মোদক তিনি বলেন, ” কথিত ইতিহাস অনুসারে আমাদের দোকানে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিজে তিনি এই মতিচুর সন্দেশটির নামকরণ করেন। তিনি বলেছিলেন সন্দেশটি যতক্ষণ মুখে থাকবে ততক্ষণই তার স্বাদ মিষ্টি থাকবে। তা হাতে নিলেই একেবারেই গুড়ো হয়ে যায়। যা দেখলে মনে হয় একটি মুক্তকে যদি গুঁড়ো করা হয় বা চূর্ণ করা হয় তা যেমন হয় ঠিক তেমনি দেখতে। সেই থেকেই কবিগুরু নাম দিয়েছিলেন মতিচুর সন্দেশ।’
রাহী হালদার