হুগলির নবগ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার দাস। ছোটবেলায় ইতিহাস ভূগোলের বইয়ে বিভিন্ন দেশ-বিদেশের কাহিনিকে নিজের চোখে দেখার ইচ্ছা জন্মায়। সেই থেকেই ভ্রমণের প্রতি শুরু নেশা। ইতিমধ্যেই পৃথিবীর ১৯৫টি দেশের মধ্যে ৮৮টি দেশ তিনি ঘুরে এসেছেন। ভ্রমণের পাশাপাশি তার আরেকটি নেশাও রয়েছে। তা হল সংগ্রহের। যে যে দেশে তিনি ঘুরেছেন সেই সেই দেশে সংস্কৃতির বৈভব স্বরূপ সংগ্রহ করে রেখেছেন সেই সমস্ত দেশের পুতুল।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ভয়ানক ঘটনার সম্মুখীন পর্যটকরা! প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে, কী ঘটেছে
ফ্রান্স, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু, যখনই সুযোগ পেয়েছেন, পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন ছোট ছোট পুতুল। যাতে সেই সমস্ত দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা যায়।
সঞ্জয়ের কথায় "পুতুলগুলি দেখলেই বোঝা যায় সেগুলি কোন দেশ থেকে আনা। যেমন নরওয়ে থেকে আনা পুতুল দেখতে এস্কিমোদের মতো, জাপানের পুতুলের সাজসজ্জা জাপানিদের মতো, আফ্রিকার পুতুলটি দেখতে আফ্রিকার জনজাতির মতো। পুতুলের সাজসজ্জা, পোশাক, এমনকি মাথার টুপি থেকে পায়ের জুতো সবই অবিকল সেখানকার জনজাতির সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। আমার সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৬৬টি বিভিন্ন দেশের ছোট ছোট পুতুল।''
আরও পড়ুন: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! অল্প সময়ে, নামমাত্র খরচে হাওয়া বদল করুন শহরের কাছে
সঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, ভ্রমণের নেশা তাঁর স্কুল জীবন থেকে। কলেজ জীবনে ডাক্তারি পড়াকালীন শুরু বিদেশ ভ্রমণ। এখন ডাক্তারি করে যা আয় করেন, তার ৪০ শতাংশ তিনি ব্যয় করে ফেলেন ভ্রমণে। কিন্তু ছাত্র জীবনে সেই অবকাশ ছিল না তাঁর। তখন এর যাত্রাপথ ছিল আরও কঠিন। বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম হত। সেই সমস্ত প্রোগ্রামে তিনি অংশগ্রহণ করতেন এবং ইন্টার্নশিপ করতে বিভিন্ন দেশে যেতেন। সেখানে গিয়েই তার কাজের ফাঁকে শনি রবিবার করে ঘুরে দেখতেন সেই দেশ। আর ভ্রমণে বেরোনোর আগে তার সঙ্গী ছিল সেই দেশের বই। বই পড়ে আগে থেকে তিনি ঠিক করে নিতেন কোথায় যাবেন এবং কী কী দেখবেন। বর্তমানেও কাজের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের বই তিনি পড়তে শুরু করেন।
রাহী হালদার