রবিবার সকালে বাঁশবেরিয়ার হাজি দরগা থেকে হংসেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রার মাধ্যমে মানুষজনের কাছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সমান অধিকারের কথা তুলে ধরেন তারা। গোটা জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে প্রায় শতাধিকেরও বেশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সমবেত হন এই দিন।
আরও পড়ুন: শীতের সময় ফুসফুসের আলাদা যত্ন নিচ্ছেন তো? রুক্ষ আবহাওয়ায় বড় ক্ষতি হতে পারে!
advertisement
সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সর্বদা অবহেলিত। নিজেদের পর্যাপ্ত সম্মানের জন্য লড়াই করতে হয় তাদের প্রতিদিন। সরকারি থেকে বেসরকারি চাকরির সমস্ত জায়গাতেই লিঙ্গ বৈষম্যতা রয়েছে। সেখানে নারী-পুরুষদের জায়গা থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য বিশেষ কোনো স্থান নেই। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চাকরিতে যোগদান করতে গেলে তাদের পুরুষ হিসেবে যোগদান করতে হয়। সরকারের কাছে বারবার আবেদন করলে এই বিষয়ে সরকার বরাবরই উদাসীন।
আরও পড়ুন: রাতে আচমকা ঘরে ঢুকে হামলা, বেপরোয়া গুলি! বহরমপুরে মারাত্মক কাণ্ড
তৃতীয় লিঙ্গের একজন শিক্ষক অত্রি কর তার কথায়, "প্রশাসনিক তরফে কথায় কথায় উঠে আসে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে রিজার্ভেশনের ব্যবস্থা নেই। তাদের কথা উঠলেই প্রশাসন বারবার পরিসংখ্যানের কথা বলে, তাই আজকের তাদের এই আন্দোলন তাদের পরিসংখ্যান তুলে ধরার জন্য। প্রশাসনের তারা নজর কাটতে চান যে তাদেরও অনেক সংখ্যক মানুষ রয়েছে যাদের উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন।"
রবিবারের এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় 'অনন্যা তৃতীয়া সম্মান'। এই অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গের বেশ কিছু মানুষদের সম্মানিত করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার রিয়া সরকার। তৃতীয় লিঙ্গের এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অত্রি কর বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পাশাপাশি তথাকথিত সমাজের মূল স্রোতের নারী-পুরুষদের সম্মানিত করা হয় বিভিন্ন জেলা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের শতাধিক মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে রেখে সমাজের মূল স্রোতে সকলকে ফিরিয়ে আনাই তাদের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
রাহী হালদার