১২১১ বঙ্গাব্দে শ্রীরামপুরের জমিদার পুকিন বিহারী দে দোলের দিন এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। কালের নিয়মে জমিদার বাড়ির সেই পুজো এখন সর্বজনীন। এই বছরের দোলে দুর্গাপুজো ২১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। ইতিহাসের পাতা উল্টে জানা যায়, ১২১১ বঙ্গাব্দের দোলের দিন শ্রীরামপুরের জমিদার পুলিন বিহারী দে ও নগেন্দ্রনাথ দে এই পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই দোলের দিন এই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। দোলের সকালে আবির খেলার পর শুরু হয় মহিষাসুরমর্দিনীর পুজো।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত হলেই মহানন্দার পাড়ে শুরু হয়ে যায় মাটি মাফিয়াদের দাপাদাপি, ফের ভাঙন আতঙ্ক মালদহে
এই দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন কয়েক হাজার মানুষ অন্নভোগ গ্রহন করেন। সেদিন এলাকার কোনও বাড়িতে রান্নার উনুন জ্বলে না। চারদিনের এই পুজো ঘিরে আট থেকে আশি সকলেই মেতে ওঠেন। মনে করা হয়, দোলের দিনই নাকি দুষ্টু মহিষাসুরকে বধ করে অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন দেবী দুর্গা। এই দোলের দিন শ্রী রামচন্দ্র দেবী দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন বলে অনেকের ধারণা।
দোলের পাশাপাশি একইসঙ্গে এলাকায় দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই সময় পঞ্চাননতলার মানুষ বেশ খুশিতে থাকে। পুজো উপলক্ষে দোলের দিন সকালে প্রভাত ফেরি বের হয়। নাচে-গানে আনন্দে মেতে ওঠেন পাড়ার সবাই। এই মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধনা খুবই নিষ্ঠা ভরে হয়। দেবী খুব জাগ্রত বলে এলাকায় পরিচিত।
রাহী হালদার