উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা দেখেছেন টেলিভিশনে। দেখেছেন মানুষকে ভেসে যেতে, ঘরবাড়ি ছাড়া হতে। দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে দৌড়ে যেতে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে। যেমন করে তিনি দাঁড়াতেন বাংলাদেশে (সাবেক পূর্ব পাকিস্থান) থাকার সময়। সেখানে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন প্রীতিকণাদেবী।
advertisement
পরাধীন ভারতে জন্ম তাঁর। এদেশে এসে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় বসবাস। স্থানীয় বাসুদেবপুরে প্রাথমিক স্কুলে ২৩ বছর চাকরি করেছেন। তারপর অবসর নেন। স্বামী, সন্তান নেই। নিঃসন্তান বৃদ্ধা একাই থাকেন। পেনশনের টাকা থেকে নিজের খরচ বাঁচিয়ে এক লক্ষ টাকা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ মোকাবিলায় এক লক্ষ টাকা দান করলেন প্রাক্তন শিক্ষিকা।
প্রীতিকণা মজুমদার
বৃদ্ধা বললেন, ‘আমি কোন রাজনীতি বুঝি না। যারা মানুষের কাজ করে তাদের কথা বলি। দেশ ও দশের কাজই আসল কাজ’। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, বয়স হয়েছে কানে কম শোনেন। টিভিতে উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় দেখেছেন প্রীতিকণা মজুমদার। তার মন কেঁদেছে দুর্গতদের জন্য। তাদের সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল এক লক্ষ টাকা দান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
