এটাই পড়া পড়া খেলা উত্তরণ। যেখানে অভিনব পদ্ধতিতে শিশুদের শিক্ষাদান করানো হয়। কবিগুরু ভাষায় বলতে গেলে “যে শিক্ষায় আনন্দ নেই সেই শিক্ষা মূল্যহীন”। বালুরঘাট শহরের এ কে গোপালন কলোনি এলাকার এমনই প্রায় ৫০ টি শিশু অভিনব পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে শিক্ষা নিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ জেলায় বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির! সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিরাট উদ্যোগ
advertisement
এলাকায় গিয়ে জানা গেল “নুন আনতে পান্তা ফুরানো” পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয়। তারপর পড়াশোনা করতে গিয়ে এলাকার অধিকাংশ মানুষই প্রাইমারি গণ্ডি পার হয়নি বললেই চলে।ফলস্বরূপ, এই এলাকায় শিশুদের নিয়েই অভিনব পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে শিক্ষাদানের পাঠ শুরু হলো বালুরঘাটে।
উল্লেখ্য করোনা সময়কালের পরবর্তী ধাপে অনেক শিশুর মধ্যে স্কুলে না যাবার পরিবেশ তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনকি স্কুলছুট শিশুদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, একটা বড় ভীতি কাজ করে তাদের পড়াশোনা নিয়ে। যেন তারা একটা গন্ডিবদ্ধ জীবন যাপন করছে। পড়াশুনা নিয়ে যেন শিশুমনে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন ঃ চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ধুন্ধুমার হাসপাতাল চত্বরে
ফলস্বরূপ অভিনব পদ্ধতিতে সেই শিশুরা এবার পড়াশুনামুখী। তাই ছোটদের মধ্যে পড়াশুনাকে আরও বেশি করে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বালুরঘাটের তুহিন বাবু। খেলার ছলের পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক এই সব পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে কচিকাঁচাদের শিক্ষাদান করাবেন এক মাত্র কর্ণধার তুহিন বাবু।
খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির বুকে শিক্ষা লাভ করবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি শিশু সুলভ মনকে ধরে রাখতেই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি সহযোগিতা চাইছেন সকলের। যাতে খুব সহজেই এই সমস্ত পড়ুয়াদের মজাদার ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন ঃ গাছের মধ্যে ঝুলছে যুবকের দেহ! খুন না আত্মহত্যা, দানা বাঁধছে রহস্য
পড়ুয়ারাও অভিনব কায়দায় শিখতে পেরে খুবই মজা পেয়েছে এভাবে পড়াশোনা শুরু হওয়ায়। ঘরের বাইরে খোলা হাওয়ায় রঙিন বোর্ড আর নানান খেলার মাধ্যমে পড়া এ যেন পড়া পড়া খেলা। পড়া পড়া খেলায় জমিয়ে আনন্দ উপভোগ করছে প্রত্যেক পড়ুয়া।
সুস্মিতা গোস্বামী