পার্কে কর্মরত একজন মহিলা কর্মী বীণা রায় বলেন, "এই পার্কে একটা সময় প্রচুর পর্যটকরা আসলেও বর্তমানে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। শীতের মৌসুমে পর্যটকরা একটু হলেও বেশি আসেন এ পার্কে। এই পার্কে প্রবসের মূল্য মাত্র ১০ টাকা।" তবে পার্কে বর্তমানে পর্যটকদের কম আসার কারণ পার্কের অবস্থার অবনতি। একটা সময় সুন্দর এই পার্ক বর্তমানে চেহারা নিয়েছে ধ্বংসাবশেষের। পার্কের বিভিন্ন বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রীগুলো অধিকাংশই ভেঙে গিয়েছে। কমে এসেছে পার্কের হরিণের সংখ্যা। ভেতরে ছেয়ে গিয়েছে আগাছা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্য দিবালোকে পাট ব্যবসায়ীকে মারধর, টাকা ছিনতাই!
তাই এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এই পার্কের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বন দফতরের কাছে। পার্কে ঘুরতে আসা এক পর্যটক রথীন দত্ত জানান, এই পার্কের একটা সময় অনেক নাম-ডাক ছিল। তবে বর্তমান সময়ে সঠিক পরিচর্যার অভাবের কারণে এই পার্কে দেখার মতন আর কিছুই নেই। শুধু গুটিকয়েক হরিণ রয়েছে তাও নানান সমস্যায় জর্জরিত। বন বিভাগের উচিত এই পার্ক নিয়ে নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু করা।
আরও পড়ুনঃ বংশানুক্রমে থাকলেও নেই সঠিক পাট্টার কাগজ! চিন্তায় বোরডাঙ্গা গ্রামের ২০টি পরিবার
না হলে অচিরেই একটি সুন্দর ইকো পার্ক কোচবিহার থেকে হারিয়ে যাবে। এমন বহু পর্যাটা করা রয়েছেন যারা এই পার্কের নাম শুনে ঘুরতে আসলেও পার কি কিছু না থাকার কারণে হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে এই পার্কের মধ্যে যে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে তার সঠিক কাজে লাগাতে পারলে পার্কটিকে পুনরায় নিজের প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
Sarthak Pandit