এই মরা নদীর কুঠি এলাকায় রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। আর এই পথে না গেলে, অন্যপথে ঘুরে যেতে হয় প্রায় ১১ কিলোমিটার। আর সেটা আরোও বেশি কষ্টের। এছাড়া গোটা এলাকায় কোনোও রকম চিকিৎসা জনিত দরকার পড়লেও প্রায় ১১ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় চিকিৎসা করাতে। তবে যদি এই সেতুটি ঠিকঠাক থাকতো। তাহলে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হত গ্রামবাসীকে।
advertisement
আরও পড়ুন: দাদার প্রেমে পড়ে এ কী করলেন বোন! কোচবিহারের মাথাভাঙার ঘটনায় হঠাৎ চাঞ্চল্য
সর্বোপরি এই এলাকার ব্যবসায়ীদের জন্য হচ্ছে ব্যাপক সমস্যা। স্থানীয় ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, "এই সেতু সঠিক অবস্থায় থাকলে বিপণন সামগ্রী বাজারে নিয়ে যেতে খরচ হয় মাত্র ১৫ টাকা। কিন্তু, সেতুর অবস্থা সঠিক না থাকার কারণে সম্পূর্ণ ঘুরে যেতে হয়। তাই সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার খরচ পড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। যার ফলে জিনিসের দামও বাড়াতে হয় বিক্রি করার ক্ষেত্রে।" এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু বর্মন জানান, "ভোটের সময় নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।"
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি হাসপাতালে নতুন উদ্যোগ! দাবদাহে রেহাই পেতে পানীয় জলের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের
বাম আমলে তৈরি হওয়া এই কালভার্টটি বিগত প্রায় ১৮ বছর থেকে এভাবেই ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রায় দু'বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। ব্রিজের কাজ তো অনেক দূরের কথা। বিধায়কের দেখাও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকার এই সেতুটি গ্রামবাসীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হতে চলেছে। এই সেতুটির অভাবে কার্যত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর দুই পাশের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী এবং ব্যবসায়ীরা।
সার্থক পণ্ডিত