কোচবিহার জেলার যে আট যাত্রী করমণ্ডলের এই দুর্ঘটনায় জখম হন তাঁদের মধ্যে তালিকায় ছিলেন দিনহাটার তিন বাসিন্দা নবেন্দু গোস্বামী, শিবা রায় এবং জিসান আলম। স্থানীয় ঘোকসাডাঙা এলাকার ছিলেন তিন বাসিন্দা আসিদুল হক, শাহিদুর রহমান এবং হাফিজুর রহমান। আর শিতলকুচির ছিলেন এক ব্যক্তি হরিনাথ বর্মন। এছাড়াও ছিলেন আরও একজন ব্যক্তি যাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: রুজিরা প্রসঙ্গে চড়া সুর মমতার…! অভিষেক-পত্নীকে ইডির তলব নিয়ে ‘বিস্ফোরক’ মুখ্যমন্ত্রী
তবে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কোচবিহারের বাকি সমস্ত দুর্ঘটনাগ্রস্থ যাত্রীরা অক্ষত থাকলেও দিনহাটার বাসিন্দা শিবা রায়ের মৃত্যু হয়ছে। শিবা রায়ের বড় জ্যেঠিমা শান্তি রায় জানান, “প্রথম দিকে শিবার ফোন সুইচ অফ থাকলেও পরবর্তীতে খবর পাওয়া যায় সেও গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছে। তাই পরিবারের দুই সদস্য ওড়িষ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। তবে না, শেষ রক্ষা হল না। পরিবারের মানুষেরা সেখানে গিয়ে জানতে পারেন শিবার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁরা শিবার মৃতদেহ শনাক্ত করেন। বর্তমানে শিবার পরিবার ও গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অঝোরে কেঁদে চলেছেন শিবার মা।
বয়সে নেহাতই তরতাজা তরুণ। ট্রেন দুর্ঘটনায় এহেন শিবার অকালে চলে যাওয়া কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শিবার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। গোটা পরিবারের উপর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, “পরিবারের মানুষ-জন ওড়িশায় পৌঁছে শিবার মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। বর্তমানে শিবার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁর দেহ নিয়ে আসা হবে কোচবিহারে।
কোচবিহার খবর (Cooch Behar News)
সার্থক পণ্ডিত






