তবে এবার পাটের মরশুম আসার আগেই বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে প্রচুর। তবে পাট লাগানোর পর থেকে বৃষ্টির আর সেরকম দেখা মেলেনি। তাই চিন্তায় রয়েছেন পাট চাষিদের একাংশ। রফিকুল মিয়া নামের এক পাট চাষি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই পাট চাষ করে আসছি। তবে প্রতিবছরই এ সময় কিছুটা হলেও বৃষ্টি হয়। তবে এ বছর বৃষ্টির আশায় বসে থেকেও লাভ হচ্ছে না। ক্ষেত থেকে পাট কেটে নিয়ে রাখা রয়েছে। তবে ভেজানোর মোট পর্যাপ্ত জলাশয় নেই। তাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। হয়তো এবার পাট চাষে ক্ষতি হতে পারে বলে মনে হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ জল নিকাশের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী পৌরসভা, উদ্বোধন করা হল কালভার্ট
আরও পড়ুনঃ সামনেই স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় পতাকার বিক্রি জমজমাট
পাটের চাষের এবং পাট পচানোর জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন তার দেখা মিলছে না। আকাশে মেঘ রয়েছে মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। তবে এই বৃষ্টি পর্যাপ্ত পরিমাণ নয় বলে দাবি করছেন অধিকাংশ পাট চাষি। জল সেচের মাধ্যমে কিছু চাষিরা যদিও তাদের সাময়িক ব্যবস্থা করে নিয়েছেন।
তবুও অধিকাংশ কৃষক এখনও পর্যন্ত এই কারণেই তাদের পাট পচানো শুরু করতে পারেননি। কোচবিহারের সহ কৃষি আধিকারিক রজত চ্যাটার্জি বলেন, "আমরা কৃষকদের অবস্থা বুঝতে পারছি। তবে মরশুমি বৃষ্টিপাতের ওপর করো হাত নেই। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব প্রচেষ্টা করছি। যাতে কৃষকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়। তবে কোচবিহারে এই বছর যতটা পাট চাষ হয়েছে তার পরিমাণ অনেকটা। তাই সমস্ত কৃষকদের সেই ভাবে সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।"
Sarthak Pandit