কোচবিহার শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নরেন্দ্র নারায়ণ পার্কের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত এই দিঘিটি। এক সময় এই দিঘির ঘাট দখল করে দোকান তৈরির অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবেশপ্রেমীরা। যদিও তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এবার তো একেবারে সরাসরি দিঘি বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এটির চারপাশ জবরদখল করে এমনভাবে দোকান সহ নানান নির্মাণ গড়ে উঠেছে যে মাঝে দিঘি আছে সেটাই নতুন প্রজন্মের অনেকে জানেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: কাকদ্বীপে চালু হল এফপিসি, এবার সরাসরি কৃষকের থেকে ফসল কেনা যাবে
রাজ আমলের এই ঐতিহ্যবাহী দিঘি ভরাট নিয়ে স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী অতনু বণিক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শহরের মাঝে বেশ কিছু রাজ আমলের দিঘি এইভাবেই দখল হয়ে গিয়েছে। এবার এই সাঁওতাল দিঘির পালা। একটা সময় অবৈধভাবে নির্মাণ করে এই দিঘীর ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার গোটা দিঘিটাকেই ধীরে ধীরে বুজিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে। কোচবিহার জেলা প্রসাশন যদি দ্রুত এই বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ না নেয় তবে হয়ত অচিরেই হারিয়ে যাবে রাজ আমলের এই ঐতিহ্যবাহী দিঘিটি, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আরেক পরিবেশপ্রেমী অর্ধেন্দু বণিক বলেন, রাজ আমলে খনন করা প্রতিটি দিঘির গুরুত্ব আছে। শহরের কোথাও আগুন লাগলে এই দিঘিগুলোর জল কাজে লাগানো যাবে। এদিকে ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিগুলি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে পরিবেশপ্রেমীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন। তারা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
সার্থক পণ্ডিত