লোবা গ্রামের কৃষি জমি রক্ষা কমিটি একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতির সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারক লিপি জমা দেয়। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও এই নিয়ে চিঠি পাঠান তাঁরা। এখানকার গ্রামবাসীদের দাবি কোন পথে কয়লা প্রকল্প গড়ে উঠবে সে সম্বন্ধে তাঁরা কিছুই জানেন না। এমনকি ক্ষতিপূরণের বিষয়েও তাঁরা অন্ধকারে আছেন বলে জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের সেরা স্বেচ্ছাসেবকের স্বীকৃতি
জয়দেব-খাগরা প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ নিয়ে এর আগে দু'বার আলোচনা হয়। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। সরকার তরফে কিছু না জানানো হলেও লোবার মানুষ জানতে পেরেছে ওড়িশার একটি সংস্থা এখানে কয়লা প্রকল্প গড়ে তোলার অনুমতি পেয়েছে। লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অভিযোগ, ওড়িশার ওই সংস্থা জমি মালিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেনি। তবে গ্রামে তারা একটি অফিস খুলেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়লা প্রকল্পের বরাত পাওয়া সংস্থা দালালদের মাধ্যমে অল্প টাকায় গ্রামবাসীদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠতেই কৃষিজমের রক্ষা কমিটি জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে। তাঁরা চান গ্রামে কয়লা প্রকল্প হোক, কিন্তু সরকারের মধ্যস্থতায় ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারিত হোক।
লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন , এই প্রজেক্টের জন্য আমরা এর আগেও বহুবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া সংস্থার লোক গাড়িতে করে এলাকায় আসছে ও এক একজনকে এক একরকম জমির দাম বলছে। কৃষি জমি রক্ষা কমিটির দাবি, সরকারি মধ্যস্থতায় প্রকল্পের বরাত পাওয়া বেসরকারি সংস্থা নির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ ঘোষণা করুক। তারপর প্রকল্প নিয়ে পরবর্তী ধাপের আলোচনা হবে।