TRENDING:

Birbhum Durga Puja 2022 II অস্ত্রের বদলে হাতে ফুল, শান্তিনিকেতনের হিরালিনী দুর্গোৎসব এনেছে আলাদা মাত্রা

Last Updated:

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গলে যে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয় তাকে হীরালিনি দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। এই দুর্গোৎসবের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এখানে রয়েছে আদিবাসী ও বাঙালি ঐতিহ্যের মেলবন্ধন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বীরভূম : শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গলে যে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয় তাকে হীরালিনি দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। এই দুর্গোৎসবের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এখানে রয়েছে আদিবাসী ও বাঙালি ঐতিহ্যের মেলবন্ধন। আদিবাসীদের বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এই দুর্গোৎসবে তাদের ছোঁয়া দেওয়া হয়। এই দুর্গোৎসবের শুরু হয়েছিল ২০০১ সালে বাঁধন দাসের হাত দিয়ে। এরপর ২০০২ সালে যখন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিস্ফোরণের ফলে বিশ্বজোড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হলে এখানকার প্রতিমায় দেবী দুর্গার দশ হাতে অস্ত্রের পরিবর্তে দেওয়া হয় ফুল। যার মাধ্যমে শান্তির বাতাবরণ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়।
advertisement

বাঁধন দাস এই রীতি চালু করার পর থেকে আজও সেই রীতি মানা হয়ে থাকে। এখানে পুজোয় পাঁচ ধরনের প্রতিমা রয়েছে। এই বছর যে মূর্তির পুজো হচ্ছে সেই প্রতিমায় যা ২০০১ সালে করা হয়েছিল অর্থাৎ পুজো হচ্ছে টেরাকোটা মূর্তিতে। ইতিমধ্যেই এখানকার এই পুজোতে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। এই বছর এখানকার পুজো ২২ বছরে পা রাখছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল এখানকার পুজোর ক্ষেত্রে কোন রকম চাঁদা তোলার রীতি নেই।

advertisement

আরও পড়ুনঃ পাঁচ বছরের শিশু হত্যাকাণ্ড, নারকীয় ঘটনায় ফাঁসির দাবি মোলডাঙ্গা গ্রামবাসীদের

এখানে যারা যুক্ত তারাই এই পূজোর আয়োজন করে থাকেন নিজেদের মধ্যে অর্থ ব্যয় করে। পুজোয় ওতপ্রোতভাবে আদিবাসী মানুষ এবং সমাজের যোগদান রয়েছে। পুজোর সমস্ত দায়িত্ব সামলান বাধন দাসের ছাত্র আশীষ ঘোষ। এই পূজোর সূত্রপাত হয়েছিল মূলত শারদ উৎসবের সময় আদিবাসীদের যে বেল বরণ উৎসব এবং দুর্গোৎসবের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য। এছাড়াও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক আচার অনুষ্ঠান শান্তিনিকেতনের এই জায়গা থেকে হারিয়ে যাচ্ছিল।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বিক্রি করে জরিমানার সম্মুখীন দুই ব্যবসায়ী

সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই যাতে আদিবাসীদের আচার অনুষ্ঠান হারিয়ে না যায় তার জন্য এই দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। এই মঞ্চ করা হয়েছিল মূলত আদিবাসীদের নিয়ে ওয়ার্কশপ অর্থাৎ তাদের নিয়েই কাজকর্ম করার জন্য। ২০০১ সালে তৈরি হওয়া এই মঞ্চ আজও অটুট। আজও এখানে এই মঞ্চে দুর্গাপুজোর সময় দেখা যায় বিবিধের মাঝে মিলন মহান।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অরণ্যের নাম গণপুর, কলকাতার খুব কাছে মাত্র ৫০ টাকা খরচে গভীর জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন!
আরও দেখুন

Madhab Das

বাংলা খবর/ খবর/বীরভূম/
Birbhum Durga Puja 2022 II অস্ত্রের বদলে হাতে ফুল, শান্তিনিকেতনের হিরালিনী দুর্গোৎসব এনেছে আলাদা মাত্রা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল