বাঁধন দাস এই রীতি চালু করার পর থেকে আজও সেই রীতি মানা হয়ে থাকে। এখানে পুজোয় পাঁচ ধরনের প্রতিমা রয়েছে। এই বছর যে মূর্তির পুজো হচ্ছে সেই প্রতিমায় যা ২০০১ সালে করা হয়েছিল অর্থাৎ পুজো হচ্ছে টেরাকোটা মূর্তিতে। ইতিমধ্যেই এখানকার এই পুজোতে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। এই বছর এখানকার পুজো ২২ বছরে পা রাখছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল এখানকার পুজোর ক্ষেত্রে কোন রকম চাঁদা তোলার রীতি নেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাঁচ বছরের শিশু হত্যাকাণ্ড, নারকীয় ঘটনায় ফাঁসির দাবি মোলডাঙ্গা গ্রামবাসীদের
এখানে যারা যুক্ত তারাই এই পূজোর আয়োজন করে থাকেন নিজেদের মধ্যে অর্থ ব্যয় করে। পুজোয় ওতপ্রোতভাবে আদিবাসী মানুষ এবং সমাজের যোগদান রয়েছে। পুজোর সমস্ত দায়িত্ব সামলান বাধন দাসের ছাত্র আশীষ ঘোষ। এই পূজোর সূত্রপাত হয়েছিল মূলত শারদ উৎসবের সময় আদিবাসীদের যে বেল বরণ উৎসব এবং দুর্গোৎসবের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য। এছাড়াও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক আচার অনুষ্ঠান শান্তিনিকেতনের এই জায়গা থেকে হারিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বিক্রি করে জরিমানার সম্মুখীন দুই ব্যবসায়ী
সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই যাতে আদিবাসীদের আচার অনুষ্ঠান হারিয়ে না যায় তার জন্য এই দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। এই মঞ্চ করা হয়েছিল মূলত আদিবাসীদের নিয়ে ওয়ার্কশপ অর্থাৎ তাদের নিয়েই কাজকর্ম করার জন্য। ২০০১ সালে তৈরি হওয়া এই মঞ্চ আজও অটুট। আজও এখানে এই মঞ্চে দুর্গাপুজোর সময় দেখা যায় বিবিধের মাঝে মিলন মহান।
Madhab Das