তবে এখনও পর্যন্ত এই নৃত্য ঘরানা বীরভূম, বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু জায়গায় দেখা যায়। এছাড়াও এই সকল জেলার বেশ কিছু শিল্পী যারা এখনও পর্যন্ত রায়বেশেকে আঁকড়ে ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিজেদের নৃত্য ঘরানা পরিবেশন করতে যান। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পেলেই ছুটে যান এবং সেখানে এমন নৃত্য সঞ্চালন করে থাকেন। বাঁশ, লাঠি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে এই নৃত্য ঘরানা সঞ্চালিত করা হয়ে থাকে।
advertisement
মধ্যযুগে এই ধরনের ঘরানা নৃত্য সঞ্চালিত করতেন যারা মূলত জমিদারদের দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করতেন। পায়ে নূপুর পরে ঢোল, কাঞ্চিস ইত্যাদির আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের নৃত্য পরিবেশন করেন। এখানে নৃত্য বলতে মূলত তাদের পারদর্শিতা বা খেলা দেখানো হয়।
আরও পড়ুন : তিলের খাজা খেতে মজা! তৈরি হচ্ছে শীতের মরশুমে লালগোলায়
বীরভূমের নানুরের চারকল গ্রামের ১৮ জনের বেশি এই ধরনের নৃত্য ঘরানা পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ওড়িশা, হরিয়ানা বিভিন্ন জায়গায় এমন নৃত্য পরিবেশন করে থাকেন। তারা লাঠি, ডাল তরোয়াল, বাঁশ, ত্রিফলা ইত্যাদি নিয়ে এমন নৃত্য ঘরানা পরিবেশন করে থাকেন।
আরও পড়ুন : উল্লসিত বাসিন্দারা, এই প্রথম প্রচুর পরিযায়ী পাখি এল কালনার ছাড়িগঙ্গায়
তবে তাঁদের আক্ষেপ কেবলমাত্র এই রায়বেশের উপর নির্ভর করে সংসার চলে না। সংসার চালানোর জন্য তাদের চাষবাসের কাজও করতে হয় এবং সেই চাষবাস করার ফাঁকে এই নৃত্যধারাকে তাঁরা টিকিয়ে রেখেছেন।