এ ছাড়াও এখানে বেদির ছবি এবং প্রতিমার ছবি তোলা নিষিদ্ধ। বছরের পর বছর ধরে এই একই রীতিতে এখানে রক্ষাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়ে আসছে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার অদূরে অফবিট পিকনিক স্পট! বছর শুরুর দিনে ঘুরে আসুন 'পয়লা নম্বরে'
এখানকার এই রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে। পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল মালসার ব্যবহার। মাটির পাত্র মালসাতে পুজো সামগ্রী দেওয়ার জন্য পুজোর দিন সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের লাইন দেখা যায় চোখে পড়ার মত। এরপর রাতে পুজোর শেষ হলে পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় প্রসাদ বিতরণ। দূর দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা নিজেদের মনস্কামনা পূরণের জন্য ছুটে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ টয়ট্রেনে বসে যাত্রীরা এ বার সুড়ঙ্গের অন্দরে, কোথায় মিলবে এই জয় রাইড?
রক্ষা কালী পুজো একদিনের হলেও টানা আট দিন ধরে মেলা বসে। বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে লোকসংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এ ছাড়াও প্রতিবছর এখানে পুজোর পর একদিন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। পুজোর পর অষ্টমঙ্গলার দিন নরনারায়ণ সেবা করানো হয়।
বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কালীপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে, তবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষ মঙ্গলবার সিউড়ির রক্ষাকালী তলায় যে রক্ষাকালীপুজোর আয়োজন হয় তা এলাকায় সবচেয়ে বড় কালীপুজো হিসাবেই পরিচিত।
Madhab Das