আপাতত এই এলাকায় কতটা নিচে কয়লা রয়েছে এবং সেই সকল কয়লার গুণগত মান কেমন তা যাচাই করার জন্য এই খনন কাজ শুরু করা হল। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণসিঙা, কেন্দ্রপাহাড়ি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই ধরনের ১৪টি কূপ খনন করা হবে। সেই কূপ খনন করার পরেই কত নীচে কয়লা রয়েছে এবং এর গুণগত মান কেমন তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
advertisement
প্রথমদিকে এই কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে স্থানীয়দের একাংশ বাধা হয়ে দাঁড়ালেও পরবর্তীতে তাদের বিপুল সংখ্যক মানুষ জমি দেয় রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারকে জমি দেওয়া এবং রাজ্য সরকারের প্যাকেজ অনুসারে ইতিমধ্যেই ২৬০ জন চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এর পাশাপাশি এদিনের এই খননকার্য দেখার জন্য এলাকার মানুষদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন - Paschim Bardhaman News : দুর্গাপুরে জোর দৌড়াদৌড়ি, ড্রেনের জলে হুড়মুড়িয়ে ভেসে আসছে ৫০০ টাকার নোট, তারপর
বৃহস্পতিবার এই শুভ কাজ শুরু করার জন্য তারাপীঠ থেকে এক পুরোহিতকে আনা হয়। সেই পুরোহিতের হাত দিয়ে পুজো করিয়ে খনন কাজ শুরু করে এবিসিএল। পিডিসিএল-এর অ্যাডভাইজার মাইনিং অমলেশ কুমার জানিয়েছেন, "এই এলাকায় কয়লা আছে কিনা এবং কতটা নিচে সেই কয়লা রয়েছে, কিভাবে সেই কয়লা উত্তোলন করা হবে ইত্যাদি দেখার জন্য প্রসপেক্টিভ ড্রিলিং শুরু করা হয়েছে। এই কাজ শুরু করল সিএমপিডিয়াই। তারা এবিসিএলকে দিয়ে এই কাজ শুরু করাল।"
আরও পড়ুন - Virat Kohli: সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত বিরাট কোহলি, পাশে দাঁড়াল ‘চিরশত্রু’ প্রতিপক্ষের তারকা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা এই শিল্প নিয়ে উৎসুক। তবে আরও কিছু দাবি-দাওয়া তাদের রয়েছে। সেই সকল দাবি দেওয়া তারা বীরভূম জেলা শাসক এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে সেই সকল দাবি দাওয়াও সরকারের তরফ থেকে মেনে নেওয়া হবে।
বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় জানান, "এই কূপ খনন করা হচ্ছে পাঁচ মিটার দীর্ঘ এবং চার মিটার চওড়া অর্থাৎ ২০ মিটারের। এই ধরনের ১৪টি যে কূপ খনন করা হবে তা আগেই চিহ্নিত করে রাখা হয়েছিল। আপাতত যে সকল জায়গায় কূপ খনন করা হচ্ছে সেগুলি ভেস্টেড জায়গায়। স্থানীয় আদিবাসী এবং বাসিন্দারা উৎসুক হয়ে আছেন কতটা মাটির নিচে এই কয়লা রয়েছে তা দেখার জন্য।"
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে দেউচা পাঁচামি এলাকায় কূপ খননের কাজ শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই কয়লা শিল্প নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে এই শিল্প গড়ার বিষয়ে এখন অনেকটাই আশার আলো দেখছেন জেলার বাসিন্দারা।
Madhab Das