ঘটনায় শোকস্তব্ধ গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। দেহরক্ষীর আত্মঘাতী হওয়ার বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই রাতের বেলাতে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বাড়ির সামনে ভীড় জমাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। সকলের মুখে শোনা যায় একটাই কথা। কি কারণে আত্মঘাতী হলেন কোকিল শৈব? কাজে কোনও দিন গাফিলতি করতে দেখা যায়নি তাকে। গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার ভুলনচৌপথির বাড়িতেই দোতলার একটি ঘরে থাকতেন কোকিল শৈব। সাতদিনের ছুটি শেষ করে গতকালই জয়গাঁয় ফেরেন তিনি। সন্ধ্যা সাতটার থেকে তার ঘর অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল। রাত নটার দিকে দোতলার ঘর থেকে একটি শব্দ শুনেছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার অপর এক দেহরক্ষী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইউপিএসসিতে সফল! চা বলয়ের দিন মজুরের ছেলের অনন্য নজির
এরপর তিনি কোকিল শৈব-র ঘরে গিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছে কোকিল শৈব। গঙ্গাবাবুকে গিয়ে তিনি খবর দেন। ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও। তিনি জয়গাঁ থানার পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসেন জয়গাঁ থানারওসি, এসডিপিও, এএসপি কুন্তল ব্যানার্জি। ঘটনার পর পুলিশ ঘিরে ফেলে গোটা এলাকাটি। গতকালই দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। খবর দেওয়া হয়েছে কোকিল শৈবর বাড়িতে। স্বামীর আত্মঘাতী হওয়ার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়ে তার স্ত্রী। বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর তার সন্তানরা। কোনওরকম মন্তব্য তারা করতে রাজি নন। ওই পরিবারে একমাত্র উপার্জন তিনি করতেন।
আরও পড়ুনঃ মুল্যবৃদ্ধির সময়ে বাড়েনি ইএলপি! অভিযোগে সরব চা বাগান শ্রমিকরা
তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে আর্থিক অনটন নিয়ে কোকিল শৈব কোনও দিন তাদের কিছু বলেনি। কোকিল শৈবর বাড়ি কালচিনির মেন্দাবাড়িতে। তার বাড়িতে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা চার ভাই ও দুই বোন। তার দাদারা সকলে প্রাক্তন সেনাকর্মী। কোকিল শৈব ছিলেন পুলিশে। দীর্ঘদিন ধরে জেডিএ চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি কোনও আর্থিক সমস্যা চলছিল কোকিলের। তার জেরে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণে এমন পদক্ষেপ কি না? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
Annanya Dey