এদিন ভোর থেকেই শুরু হয় প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নান, পুজো ও ভোগ নিবেদনের আচার। ১০৮ তীর্থক্ষেত্রের জল, দুধ, ঘি, মধু ও বিভিন্ন উপাদানে প্রভুকে স্নান করানো হয়। এরপর পরানো হয় নতুন বস্ত্র এবং গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো হয় মন্দিরের চত্বর। গোলাপের পাপড়ি দিয়ে প্রভুর পায়ে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। ভগবানের সামনে শতাধিক পদ সাজিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। সেই অন্ন ও নানা পদ দিয়ে তৈরি করা হয় গোবর্ধন পর্বতের প্রতীকী রূপ।
advertisement
‘অন্ন’ মানে ভাত আর ‘কূট’ মানে পর্বত, সেই ভাবেই সাজানো হয় অন্নের পাহাড়, যার সামনে সাজানো হয় ডাল, তরকারি, মিষ্টান্ন সহ একশোর বেশি ভোগের পদ। দিনভর চলে কীর্তন, নামসংকীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ। এদিন ভক্তদের মধ্যে দেখা যায় উৎসবের আমেজ ও ধর্মীয় উন্মাদনা।
দিঘা জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম রাধারমণ দাস জানান, “রীতি মেনেই সকাল থেকেই গোবর্ধন পুজো ও অন্নকূট উৎসব পালন করা হয়েছে। শতাধিক পদ রান্না করা হয়েছে প্রভুর ভোগের জন্য। ভক্তরা বাড়ি থেকেও ভোগ নিয়ে এসেছেন।” তিনি আরও জানান, এটি দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর প্রথম অন্নকূট ও গোবর্ধন পুজো, তাই কোনও ত্রুটি রাখতে চাননি মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সকাল থেকে মন্দিরে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভক্তদের ভিড় চমকপ্রদ। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত এসে উপস্থিত হন প্রভুর দর্শন ও পুজোয় অংশ নিতে। মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত কড়া। পুলিশের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল নিরাপত্তা বলয়। প্রথমবারের মতো দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে এমন আড়ম্বরপূর্ণ অন্নকূট ও গোবর্ধন পুজো দেখে মুগ্ধ পর্যটক ও স্থানীয় মানুষজন।
Madan Maity