সচিন রমেশ তেন্ডুলকর: জীবন, পুরস্কার, কেরিয়ার এক ঝলকে
পুরো নাম
সচিন রমেশ তেন্ডুলকর
জন্ম
২৪ এপ্রিল, ১৯৭৩
জন্মস্থান
বম্বে (বর্তমানে মুম্বই), মহারাষ্ট্র
জাতীয়তা
ভারতীয়
ক্রীড়াবিদ
ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
ব্যাটিং: ডানহাতি
বোলিং: ডানহাতি মিডিয়াম, লেগ ব্রেক, অফ ব্রেক
একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক
১৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৯, ভারত বনাম পাকিস্তান
টেস্ট অভিষেক
১৫ নভেম্বর, ১৯৮৯, ভারত বনাম পাকিস্তান
পরিবার
পিতা: প্রয়াত রমেশ তেন্ডুলকর
মা: রজনী তেন্ডুলকর
ভাইবোন: নীতীন তেন্ডুলকর, অজিত তেন্ডুলকর, সবিতা তেন্ডুলকর
স্ত্রী: অঞ্জলি তেন্ডুলকর
সন্তান: সারা এবং অর্জুন তেন্ডুলকর
কেরিয়ারের সূচনা
মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর এমন একটি নাম যেটি শুধুমাত্র ভারতে নয় সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক অপার বিস্ময়ের উদ্রেক করে। খুব সম্ভবত সারা বিশ্বে খুব কম ক্রিকেটার, বোলার বা ক্রীড়াবিদ তেন্ডুলকরের মতো এমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সে সময়ই তিনি ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে শুরু করেন। ১১ ডিসেম্বর, ১৯৮৮-এ মুম্বাই এবং গুজরাতের মধ্যে এক ক্রিকেট ম্যাচে সচিন অপরাজিত ১০০ রান করেন। সেই শুরু। বাকিটা ইতিহাস। এরপর তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অজস্র ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন।
খেলার প্রেক্ষাপট
সচিনের বড় ভাইই তাঁকে প্রথম ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তিনিই শচীনকে প্রথম রমাকান্ত আচরেকার্স অ্যাকাডেমিতে নিয়ে যান। অধুনা মুম্বইয়ের দাদরের শিবাজি পার্কে শুরু হয় মাস্টার ব্লাস্টারের ক্রীড়া জীবন।
স্কুলের দিনগুলিতে, তিনি নিজেকে একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে দেখতে চাইতেন। সেই লক্ষ্যেই চলত প্রশিক্ষণ। এ জন্য তিনি M.R.F.Pace ফাউন্ডেশনে যোগ দেন। কিন্তু পরে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ডেনিস লিলির পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করেন। শচীন তেন্ডুলকর টেনিস খেলতেও খুব পছন্দ করতেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল ম্যাচে ৬৬৪-এর বিশ্ব-রেকর্ডের মধ্যে ৩২৬ স্কোর করেছিলেন।
রেকর্ড
২০১১ সালের বিশ্বকাপে তিনি টুর্নামেন্টে ৪৮২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। সে দিন সচিনের বাঁধভাঙা চোখের জল দেখে দর্শকও আবেগে ভেসে যান।
তেন্ডুলকর ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে মোট ৩৪,০০০ রান পূর্ণ করেন। সে দিনটা ছিল ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর। সারা জীবনে সচিন মোট ৬৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১২ সালের ১৬ মার্চ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ১০০তম সেঞ্চুরিটি হাঁকান তিনি। এটা অন্যতম একটি মাইল ফলক সে কথা বলাই যায়।
একদিনের আন্তর্জাতিকে রেকর্ড সেঞ্চুরি
সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরি (49) এবং হাফ-সেঞ্চুরি (96)
একটি ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (১৯৯৮ সালে)
কেরিয়ারে সর্বাধিক চার রান (২০১৬ বার)
ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যক্তি
একদিনে সর্বাধিক ১৫০+ স্কোর
সর্বাধিক ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার (৬২ বার)
সর্বাধিক ম্যান অফ দ্য সিরিজ পুরস্কার (১৫ বার)
টেস্ট রেকর্ড
সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরি (৫১)
শীর্ষস্থানীয় রান-স্কোরার (১১,৯৫৩)
ব্রায়ান লারার সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে যৌথ ভাবে দ্রুততম ১০,০০০ রানের রেকর্ড ছুঁয়েছেন
বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ২০ বছর হওয়ার আগে ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন
পুরস্কার
অর্জুন পুরস্কার- ১৯৯৪
রাজীব গান্ধি খেল রত্ন পুরস্কার- ১৯৯৭-১৯৯৮
উইজডেন “বছরের সেরা ক্রিকেটার”-এর শিরোপা ১৯৯৭
পদ্মশ্রী- ১৯৯৯
মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার- ২০০১
ক্রীড়া বিভাগে ‘রাজীব গান্ধি পুরস্কার’- ২০০৫
পদ্মবিভূষণ– ২০০৮
আইসিসি-র ‘বর্ষসেরা ক্রিকেটার’ পুরস্কার- ২০১০
‘বিসিসিআই বর্ষসেরা ক্রিকেটার’ পুরস্কার- ২০১১
ভারতরত্ন– ২০১৪
টাইমস-এর ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তি’-র তালিকায় নাম