আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে বাসে করে এবার সোজা কলকাতা! স্বাধীনতা দিবসে চালু নতুন রুট
সূত্রের খবর, গত ১০ অগস্ট কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্বের পাঠানো তালিকা মানা হয়নি। এক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল দলের সদ্য সাসপেন্ড হওয়া বর্ষিয়ান নেতা ফটিকরঞ্জন পাহাড়ির দিকে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দল বিরোধী কাজের অভিযোগ ছিউঠেছিল। বারবার দল তাঁকে সাবধান করে বলে জানা গিয়েছে। তবে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে সমস্যা তৈরি হওয়ার দলীয় নেতৃত্বে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বলে খবর। এরপরই শীর্ষ নেতারা আলোচনা করে ফটিকরঞ্জন পাহাড়িকে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতারা।
advertisement
ঘটনা হল কেশিয়াড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে বিভাজন প্রকট হয়ে আছে। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে যা চরম আকার ধারণ করে। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া পদক্ষেপ করে দলের নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, দলের অভ্যন্তর থেকে দল বিরোধী কাজ করছিলেন ফটিকরঞ্জন পাহাড়ি। তিনি দলের নেতাদের পেছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করেছেন। দলকে বারংবার কালিমালিপ্ত করেছেন। বারবার সাবধান করার পরেও নিজেকে শোধরাতে পারেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দল পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান।
এদিকে ফটিকরঞ্জন পাহাড়ি দাবি করেন, তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি জানান, এই বিষয়ে যা বলার সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবেন।
রঞ্জন চন্দ