TRENDING:

West Medinipur News: স্কুল স্পোর্টস থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশুর পাশে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

Last Updated:

স্কুল স্পোর্টস থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুরুতর আহত হয় চিন্ময় মাহাত। প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে পাঠরত এই শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত কটকে নিয়ে গিয়ে জটিল অস্ত্রোপচার করে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এই বিপুল ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় শিশুটির পাশে এসে দাঁড়ালেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুলের বাসে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় চিন্ময় মাহাত। এটা গত ২৮ জানুয়ারির ঘটনা। এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে ভিন রাজ্যে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে জটিল অস্ত্রোপচার শেষে আপাতত বিপদমুক্ত প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ফুটফুটে শিশুটি। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এই বিপুল ব্যয় বহন করা কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময়ের স্কুল সহ আশেপাশের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরা এগিয়ে এলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তুলে ওই শিশুটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন দুঃস্থ পরিবারটির হাতে।
advertisement

পশ্চিম মেদনীপুরের শালবনির জুয়ালভাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র চিন্ময় মাহাত। তাদের চক্রের সমস্ত স্কুলকে নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে টোটো দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে। প্রথমে তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিন্ময়কে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার জটিল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে ফুটফুটে শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও বিপদমুক্ত। কিন্তু ভিন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করা, অস্ত্রপ্রচারের বিপুল খরচ বহন করার ক্ষমতা তার পরিবারের নেই। চিন্ময়ের বাবার কোন‌ও স্থায়ী রোজগার নেই।

advertisement

আরও পড়ুন: জল সেচের ব্যবস্থা নেই, সর্ষে চাষ করে বিপাকে কালচিনির কৃষকরা

এই অবস্থায় সদর উত্তর চক্রের তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে কনভেনার দেবশ্রী মুখার্জি বিশেষ উদ্যোগ নেন। তিনি এলাকায় কর্মরত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে আবেদন রাখেন শিশুটির চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। চিন্ময়ের নিজের স্কুল জুয়ালভাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিত নন্দীও অনলাইনে অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য তুলে ওই ছাত্রর পরিবারের হাতে তুলে দেন। এই প্রসঙ্গে দেবশ্রী মুখার্জি বলেন, এই সাহায্যটা করতে পেরে আমি নিজেকে গর্ব অনুভব করছি। বাকি যারা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
যা নেবেন মাত্র ৫ টাকা! বিজয়ার মিষ্টির সাবেকি স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে এখানে, কোথায় জানেন
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Medinipur News: স্কুল স্পোর্টস থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশুর পাশে শিক্ষক-শিক্ষিকারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল