TRENDING:

West Medinipur News: পাকিস্তানের ডাক টিকিট বাংলায় লেখা‌! দাঁতনের শিক্ষকের সংগ্রহে বিরল স্ট্যাম্প

Last Updated:

ছোটবেলায় ডাকটিকিট দেখে কৌতুহল তৈরি হয়। সেই তখন থেকেই চিঠি থেকে ডাকটিকিট তুলে নিয়ে জমানানো শুরু। ধীরে ধীরে বিরল স্টাম্পের সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন দাঁতনের শিক্ষক সন্তু জানা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: এক সময় দূরে থাকা প্রিয়জন হোক বা দরকারি কাজ, চিঠিই ছিল যোগাযোগের মাধ্যম। আর সেই চিঠি পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই দরকার হত ডাকটিকিটের। কিন্তু মোবাইল ফোন এসে গোটা বিষয়টাই পাল্টে গিয়েছে। চিঠি লেখার চল কমতে কমতে তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে প্রয়োজন ফুরিয়েছে ডাকটিকিটের। কিন্তু ডাকটিকিট তো শুধুই টিকিট নয়, তা ইতিহাস-সময়কে ধরে রাখে। আর সময়ের সেই সাক্ষ্য বহনকারী ডাকটিকিটের এক অনন্য সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন দাঁতনের গবেষক সন্তু জানা।
advertisement

ডাকটিকিট সংগ্রাহক সন্তু জানা পেশায় একটি স্কুলের শিক্ষকও। তাঁর নেশা হল ডাকটিকিট সংগ্রহ করা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৫ টি দেশের ডাকটিকিট তাঁর সংগ্রহশালায় জায়গা পেয়েছে। সুন্দর অ্যালবামে তা সাজিয়ে রাখা আছে। শুধু সাধারণ ডাকটিকিট নয়, বিশেষ সময়ে প্রকাশিত হওয়া অপ্রতুল ও দুষ্প্রাপ্য স্ট্যাম্প‌ও তাঁর সংগ্রহে আছে। এই সমস্ত দুষ্প্রাপ্য স্টাম্প অর্থাৎ ডাকটিকিটের ঐতিহাসিক ও বাজার মূল্য অপরিসীম। এই গবেষক নিজের বাড়িতেই আস্ত একটি ডাকটিকিটের মিউজিয়াম বানিয়ে ফেলেছেন।

advertisement

আরও পড়ুন: সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে যুবকের দেহ! গলায় দড়ি দেওয়ার আগে নাকি ভিডিও কল করেছিল

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা সন্তু জানা আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়েও গবেষণা করেন। তাঁর এই ডাকটিকিট সংগ্রাহক হওয়ার নেপথ্যের কাহিনীও শুনিয়েছেন ওই শিক্ষক। জানান, ছোট থেকেই বাড়িতে আসা চিঠিপত্র দেখে তাঁর শখ হয় ডাকটিকিট সংগ্রহের। সেই শুরু। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত নানা ডাকটিকিট নিজের সংগ্রহে নিয়ে আসেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম ডাকটিকিট‌ও তাঁর সংগ্রহে আছে। জাতীর জনক মহাত্মা গান্ধীর ছবি লাগানো সেই ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। অন্যদিকে রাজা ষষ্ঠ জর্জের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট রয়েছে সংগ্রহে। পাশাপাশি সরকারিভাবে ডাক বিভাগের তরফে ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস উপলক্ষে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। সেই সিরিজের বেশিরভাগ স্ট্যাম্পও নিজের সংগ্রহে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সংগ্রহে আছে পাকিস্তানের বাংলায় লেখা ডাকটিকিট!

advertisement

View More

ইতিহাস ও স্ট্যাম্প সম্পর্কে অনেক উৎসাহী সন্তু জানার বাড়িতে এসে সংগ্রহগুলি দেখেন। চাইলেও যোগাযোগ করে আপনিও পৌঁছে যেতে পারেন সন্তু জানার বাড়িতে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পড়তে এসেছিলেন খড়গপুর আইআইটি-তে, হয়ে গেলেন ডেপুটি ডিরেক্টর! রিন্টু ম্যাডাম আজ সবার গর্ব
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Medinipur News: পাকিস্তানের ডাক টিকিট বাংলায় লেখা‌! দাঁতনের শিক্ষকের সংগ্রহে বিরল স্ট্যাম্প
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল