ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ ঝাড়গ্রাম জেলার গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন স্কুলের যেসব মেধাবী ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং যাদের প্রাইভেট টিউশন নিয়ে পড়াশোনা করার ক্ষমতা নেই, মূলত তাদের জন্য এই অবৈতনিক কোচিং সেন্টার চালু করা হয়েছে।’’ মঙ্গলবার একটি কোচিং সেন্টারে ২৩১ জনকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হয় । প্রতি সপ্তাহের শনিবার সকাল সাড়ে ছটা থেকে নটা পর্যন্ত ওই কোচিং সেন্টারে পড়ানো হবে । পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকর্মীদের । ২৪০ জন পুলিশকর্মী এই ৭৯ টি কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে পড়াবেন । তিনি আরও বলেন, ‘‘ যে সব পুলিশকর্মীদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে তারাই ওই সেন্টারগুলোতে মূলত পড়াবেন । তিনি আরও জানান, অনেক জায়গায় স্কুলভবন ও কোথাও আবার পঞ্চায়েতের ভবনে কোচিং সেন্টারগুলো চালু করা হয়েছে। ’’
advertisement
আরও পড়ুন : প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত সন্দেহভাজনের ব্যাগ তল্লাশি করে চক্ষু চড়কগাছ রেলপুলিশের
আরও পড়ুন : পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে ছেলেকে খুন করে ‘আত্মঘাতী’ স্বামী, গ্রেফতার স্ত্রী
জঙ্গলমহলে জনসংযোগ কর্মসূচির আগে যুবক-যুবতীদের সেনাবাহিনীতে চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য পুলিশের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । বেকার যুবকদের গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । এবার বিনামূল্যে শিক্ষাদানের জন্য জেলার গ্রামীণ এলাকা জুড়ে কোচিং সেন্টার চালু করা হল । যে সমস্ত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীরা এই কোচিং সেন্টারে কোচিং নিতে চান, তাঁরা নিজ নিজ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন । পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম জেলাকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সেই কারণে এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে দিশা কোচিং সেন্টার।’’ পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা।