তাদের উদ্যোগে চাইল্ড ইন নিড ইন্সটিটিউট-এর(CINI) সহযোগিতায় ও নারায়ণগড় ব্লক আইসিডিএস প্রকল্পের অধীনে এরকম পনের জন কিশোরীকে ছাতু অর্থাৎ মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য স্বনির্ভর করা এবং কম বয়সে বিয়ের প্রবণতা কমানো।স্কুলছুট কিশোরীদের বীজ রোপণ থেকে মাশরুম চাষ করে কী ভাবে আয় করতে পারবেন তার সুলুকসন্ধান জানান হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- অবশেষে স্বস্তি! জঙ্গলমহলে মুখে হাসি ১১ যুগলের
সংস্থাটি জানাচ্ছে। দুদিন ধরে চলবে এই প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের জেলা আধিকারিক প্রিয়াঙ্কা কর, সঞ্জয় দাস, নারায়ণগড় ব্লক কন্যাশ্রী প্রকল্প আধিকারিক দ্বীপান্বিতা দে-সহ অন্যরা। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাশরুম বীজ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতর জানাচ্ছে, মাশরুম চাষ করে কিশোরীরা স্বনির্ভর যেমন হতে পারবে তেমনি পরিবারের অভাব দূর করতে পারবে।
আরও পড়ুন- তামাক জাত দ্রব্য বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে অভিযান পুরুলিয়ায়
জেলা আধিকারিক সঞ্জয় দাস বলেন, " কিশোরীদের প্রশিক্ষণ ও চাষের বিষয়টি নিয়মিত দেখভাল করা হবে।"স্কুলছুট হওয়ার পর অনেকের পরিবার কিশোরীদের কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন। অভাবের কারনে মেয়েরা বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারে না। তবে সে জায়গায় রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প অনেকটাই ঢাল হয়েছে স্কুল ছুট ও বাল্য বিবাহ রোধে। তবে দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্র এ উদ্যোগ নতুন। যা আগামী দিনে অনেক কিশোরীকে স্বনির্ভরতার পথে দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। পাশাপাশি চাইলে তারা পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে পারবেন।
রঞ্জন চন্দ