Check : ডব্লিউবি মাধ্যমিক 10 তম ফলাফল 2023
মহিকা শহরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের (Vidyasagar Shishu Niketan) ছাত্রী। বাড়ি শহরের শেখপুরা এলাকায়। মহিকা’র বাবা ও মা দু’জনেই শিক্ষক।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথা অবিভক্ত মেদিনীপুরের মধ্যে একমাত্র মহিকা-ই সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, রবিবার দুপুরের পর থেকেই খুশির হাওয়া মেদিনীপুর শহর জুড়ে। জেলা শহরের সুপ্রতিষ্ঠিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। স্কুলের পক্ষ থেকে রবিবার বিকেলে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে মহিকাকে। সঙ্গে বিদ্যালয়ের সেরা পড়ুয়াদের।
advertisement
মহিকা (৪৯৭/৯৯.৪ শতাংশ) ছাড়াও বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের আরও ৩ পড়ুয়া ৯৮ (৪৯০) শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। কৃতী এই পড়ুয়ারা হল যথাক্রমে- অন্বেষা মন্ডল (৯৮.৬ শতাংশ); পুষ্প পর্ণা নন্দী (৯৮.৬ শতাংশ) এবং প্রাঞ্জল ঘোষ (৯৮.২ শতাংশ)। এদিন, স্কুল চত্বরে মহিকা-কে ঘিরে সতীর্থদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন New CEO of Twitter: কমছে বিপুল বিজ্ঞাপনের আয়, দায়িত্ব ছেড়ে ট্যুইটারে নতুন সিইও নিয়োগ এলন মাস্কের
মহিকার সাফল্যে জেলা জয় জয়কার। মহিকা’র বাবা মনোজ দে মেদিনীপুর শহরের নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক এবং মা কৃষ্ণা দে (মন্ডল) শহরের অলিগঞ্জ ঋষি রাজনারায়ণ বালিকা বিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষিকা।
মহিকা জানিয়েছে, “প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করেছি। ভাল রেজাল্ট হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু, এতটা ভাল হবে আশা করিনি! এই রেজাল্টের জন্য সবথেকে বেশি কৃতিত্ব আমার মায়ের। তবে বাবা, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গৃহ শিক্ষকদেরও অবদান অতুলনীয়।” মহিকা এও জানিয়েছে, বড় হয়ে সে ডাক্তার হতে চায় এখন থেকেই NEET- এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে সে। মহিকা’র মা কৃষ্ণা দে (মন্ডল) বলেন, “মাদার্স ডে-তে মেয়ের কাছ থেকে এত ভাল উপহার পাবো আশা করিনি!”পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথা অবিভক্ত মেদিনীপুরের মধ্যে একমাত্র মহিকা-ই সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, রবিবার দুপুরের পর থেকেই খুশির হাওয়া মেদিনীপুর শহর জুড়ে।
Ranjan Chanda