যে কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁয় সাধারণত খাবার পরিবেশনে ব্যবহার করা হয় চিনা মাটির বা কাচের ডিশ৷ ঠিক এখানেই অভিনবত্ব এনেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের এই রেস্তোরাঁ। এখানে নিরামিষ কিংবা আমিষ, যে কোনও খাবার পরিবেশনেই ব্যবহার করা হয় কাঁসার থালা ও বাটি। এই রেস্তোরাঁয় এলে যে কারও মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। শুধু দেখে নয়, খেয়েও।
advertisement
আরও পড়ুন: এক সেকেন্ডে ডাউনলোড হবে ১৫০টা HD সিনেমা! আবিষ্কার হয়ে গেল দুনিয়ার Fastest Internet
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পোক্তাপুল ৬০ নং জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে মা বাসন্তী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। শুরুর প্রথম দিন থেকেই খাবারে যেমন রকমারি রয়েছে, তেমনই পরিবেশনে রয়েছে চমক। দামও রয়েছে সকলের নাগালের মধ্যে। পরিবারের মতো ভেবেই হোটেলে আসা গ্রাহকদের কাঁসার থালা ও বাটিতে খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে। এই প্রাচীন ঐতিহ্য এখনও মেনে চলছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, পুরনো গ্রাম্য সংস্কৃতিতে কারোর বাড়িতে অতিথি এলে আপ্যায়ন করা হত কাঁসার থালা ও বাটিতে খাওয়ার পরিবেশন করে। এখন এই সংস্কৃতি আর ক’জনই বা পালন করেন! তার জায়গা করে নিয়েছে স্টিলের ও ফাইবারের জিনিসপত্র।ত বে প্রাচীন গ্রাম্য সংস্কৃতির সেই ধারাকে জিইয়ে রেখেছেন এই হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাই এখানে খেয়ে তৃপ্তি পান অনেকেই।
আরও পড়ুন: বদমেজাজি নানা পাটেকর! ফ্যানকে সপাটে চড়, কেন? ভাইরাল ভিডিওর আসল সত্যিটা কী জানুন
নিত্যদিন বাড়ছে হোটেলের সংখ্যা। গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন নিত্যনতুন ভাবনাও। সেই ভাবনায় এই প্রাচীন ঐতিহ্য। কাঁসার থালায় খাওয়ার টানে অনেকেই এখানে আসেন। আর খাওয়ারের গুণমান বেশ ভাল৷ সব মিলিয়ে এখানে আসা লোকজন তারিফ করেন কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে। তবে হোটেল মালিক বলছেন, যারা এখানে খেতে আসছেন তাঁরা তো অতিথি। তাই বাড়িতে যেমন অতিথিদের আগে কাঁসার থালা বের করে খেতে দেওয়া হত, আপ্যায়ন করা হত। সেই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখতেই এমন ভাবনা।
রঞ্জন চন্দ