আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর খিচুড়ি খেয়ে শিশু সহ দু’জনের মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৮
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা সোমা। করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থায় শুরু করেন বাগানের পরিচর্যা। ছোটবেলা থেকে গাছ লাগানো, বাগান করার শখ। তাই লকডাউনের সময় ঘরবন্দি অবস্থায় বাড়িতে শুরু করেছিলেন ফুলগাছ লাগানো। এরপর দেশি পদ্মের বীজ এনে শুরু করেন পদ্ম ফুলের গাছ লাগানো। বর্তমানে প্রায় ৫২ টি প্রজাতির পদ্মের গাছ আছে তাঁর বাগানে। লাল, গোলাপী, সাদা, হলুদ সহ বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন আকারের পদ্ম ফুল ফুটে আছে এই বধূর বাগানে। ইতিমধ্যে পদ্ম ফুলের গাছ অনলাইন এবং অফলাইনে বিক্রিও করছেন তিনি। দামও সাধ্যের মধ্যে। ন্যূনতম আড়াইশো টাকা থেকে দাম শুরু। কেরালা সহ দেশীয় নানান প্রজাতির পদ্মের সঙ্গে তাঁর বাগানে চাষ হচ্ছে ভিয়েতনামের পদ্ম। ফুল ও গাছের চারা বিক্রি করে লাভও হোক হচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, পদ্মফুল সাধারণত পুকুর, খাল, বিলের মত জলাশয় চাষ হয়। তবে বর্তমানে চৌবাচ্চা কিংবা প্লাস্টিকের গামলাতেও হচ্ছে পদ্মের চাষ। যা বাড়তি শোভা বাড়াচ্ছে ঘরের। যারা ফুল ভালোবাসেন তাঁরা এভাবেই ঘরের মধ্যে বা বাড়ির ব্যালকনিতে পদ্মফুল ফুটিয়ে শোভা বৃদ্ধি করছেন। সোমার বাগানজুড়ে ৫২ প্রজাতির প্রায় শতাধিক পদ্মের গাছ আছে। তাঁর এই ফুল চাষে সহযোগিতা করেন স্বামী সুমিত বেরা। এভাবেই স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন ওই দম্পতি।
রঞ্জন চন্দ