তাঁর এই অন্যরকম শখের কথা বলতে গিয়ে পার্থিব জানান, তাঁর মা স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। ছোটবেলায় দেখতেন মায়ের নামে নানান জায়গা থেকে চিঠি আসত। সেই চিঠির উপর থেকে ডাক টিকিট তুলে নিয়ে সংগ্রহ করে রাখতেন। সেই শুরু। পরে আরেকটু বড় হলে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। বিশেষ করে বিরল এবং ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মুদ্রাই তাঁকে বেশি করে টানে। এরপর থেকে দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েন ও নোট সংগ্রহে মন দেন। এই করতে করতে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশের মুদ্রা ও নোট ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে ফেলেছেন এই তরুণ পশু চিকিৎসক।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যেই সহযাত্রীর গায়ে আগুন, রেল লাইনে পড়ে তিন মৃতদেহ! কেরলে হাড় হিম করা ঘটনায় জঙ্গি যোগ?
পাশাপাশি ডাকটিকিট সংগ্রহের নেশাটাও তাঁর এখনও বজায় আছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কোশিয়াড়ির পার্থিব রায় জানান, তাঁর শখ আগামী দিনে সংগ্রহ করা মুদ্রা ও ডাক টিকিট নিয়ে একটি প্রদর্শনী করা। এক সময় ডাক টিকিট সংগ্রহের এমন শখ অনেকের মধ্যেই দেখা যেত। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই নেশা কমতে শুরু করে। আসলে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চিঠি ব্যাপারটা কমে গিয়ে ই-মেল চালু হতেই ডাকটিকিট সংগ্রহের নেশাটা অনেকের থেকেই চলে যায়। তবে বিদেশি মুদ্রা ও নানান দেশের ডাক টিকিট সংগ্রহের এই নেশা যে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হলেন এই পশু চিকিৎসক।
রঞ্জন চন্দ