এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর ৬ অগাস্ট আগুন লেগে যাওয়া ডেকরেটরের মালিক কাশীনাথ চাকি গ্রামের কয়েকজন মাতব্বরদের নিয়ে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা অন্য এক ডেকরেটরের মালিক তারকনাথ আড়িকে নানান অজুহাত দেখিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পালপাড়ায় সুকুমার মাইতি নামে এক গনৎকারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে গনৎকার তারকনাথ বাবু ও তার ছেলে এই আগুন লাগানোর ঘটনায় যুক্ত বলে দাবি করেন সকলের সামনে।তারপরই ক্ষতিপূরণের বিধান দিয়ে তারকনাথ বাবুর পরিবারের উপর নানান চাপ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ অগাস্ট সন্ধ্যা থেকে তারকনাথ ও তার দুই ছেলে, ৯ মাসের শিশুর মা দিপালীর উপর প্রকাশ্যে জুলুম ও মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোমবার বিকেল থেকেই সরকারি বাস সংস্থার যাত্রী টিকিট বুকিং বন্ধ!
সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একটি জায়গায়। সেখানে একাধিক মানুষের সামনে জোর করে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করানো হয় ও সাদা কাগজে সই করে জমির দলিল কেড়ে নিয়ে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নিদান দেয় মাতব্বররা। আক্রান্ত পরিবার ওখান থেকেই পুলিশকে জানালে দাসপুর থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। উপরন্ত ওই পরিবারকে মাতব্বররা হুঁশিয়ারি দেয়, পুলিশের কাছে মুখ না খুলতে। এমনকি দোষীদের ঘর বাড়ি সম্পত্তি জোর করে দখল নিয়ে টাকা আদায় নেবে বলেও অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুনঃ শিলাবতী নদীতে তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার
আক্রান্ত পরিবারের ৯ অগাস্ট ওই পরিবার ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, বেশ কয়েকজন মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে প্রবল চাপে ভয়ে আড়ি পরিবার প্রাণ রক্ষার দায়ে সবাইকে নিয়ে ঘর ছাড়া। অন্যদিকে গ্রামের মোড়লরা শালিসি সভার কথা স্বীকার করলেও সেই সময় জোর করে সাদা কাগজে সই করানো এবং মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন\" দুই দিনের দুটি ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আগুন লাগানো, শালিসি সভা ডাকা, এই ঘটনায় যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Partha Mukherjee