কিন্তু দেবীলক্ষ্মীর কৃপা পেতে কার্পণ্য করতে নারাজ কেউই। তাই পছন্দমতো দেবীর মূর্তি নিয়ে হাঁটা দিচ্ছেন সকলে। ক্রেতাদের ভিড় দেখে খুশি বিক্রেতারা। দুর্গাপুজো শেষ হতেই ফের নতুন উৎসবের আমেজে মেতে উঠতে সব রকম ভাবে প্রস্তুত মানুষ। দেবী লক্ষ্মীর কৃপা যাতে সারা বছর ঘরে থাকে, তাই চলছে আরাধনার প্রস্তুতি। ব্যাপক সংখ্যায় যেমন লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে, তেমনভাবেই চাহিদা রয়েছে ফুল, মালার দোকানেও। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলও। সবমিলিয়ে লক্ষ্মীপুজোর একদিন আগে থেকেই পুজোর আবেগে গা ভাসিয়েছেন মানুষ। লক্ষ্মী পুজোয় লক্ষ্মীলাভ দেখছেন মূর্তি শিল্পী এবং বিক্রেতারা।
advertisement
অন্যদিকে বাজারে বিভিন্ন রকম মূর্তির দেখা পাওয়া গেলেও ক্রেতাদের সবথেকে বেশি পছন্দ হচ্ছে ছাঁচের মূর্তি। বিক্রেতারা বলছেন, এই মূর্তিগুলি তাঁরা নিয়ে এসেছেন নদিয়া থেকে। নদিয়ার বিভিন্ন নামীদামি শিল্পীরা এই ধরনের ছাঁচের মূর্তিগুলি তৈরি করেছেন। যেগুলি মূলত তৈরি হয়েছে গঙ্গা মাটি দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই এই মূর্তি খুব সহজে নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা দামের মূর্তি পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ক্রেতারা বলছেন, গঙ্গামাটি দিয়ে যেহেতু মূর্তিগুলি তৈরি করা হয়েছে, তার জন্য এই মূর্তিগুলি অনেক বেশি পছন্দ হচ্ছে তাদের। তাছাড়াও এগুলি ছাঁচের মূর্তি। ফলে সেগুলিকে ঘরে এক বছর রেখে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। তাই এই মূর্তিগুলি তাঁরা আগে খুঁজছেন। সবমিলিয়ে দুর্গাপুজোর রেশ মিটতে না মিটতেই, লক্ষ্মীপুজোর আনন্দে মশগুল গোটা বাংলা। সেই তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছেন জেলার মানুষও।





