টানা গত প্রায় ৪ দিন ধরে অনিয়মিত পরিষেবার কারণে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষারত যাত্রীদের পানীয় জল ও খাবার কিছুই মিলছে না, এমন অভিযোগও ওঠে কোনও কোনও বিমানবন্দরে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হয় ইন্ডিগো ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কাজী নজরুল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমান বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে ঠিকই তবে এই বিমানবন্দরে কোনও যাত্রীকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিকের আগে পর্ষদের নজরে ৫৩ স্কুল, দিতে হবে ৫০০০ করে জরিমানা! কেন?
যাত্রীদের পর্যাপ্ত খাবারদাবার, টিফিন ও পানীয়জলের পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাতিল হওয়া বিমানযাত্রীদের ভাড়ার টাকাও ফেরত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এই বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা স্থানীয় হওয়ায় তাঁদের থাকার জন্য হোটেলের প্রয়োজন পড়ছে না।উল্লেখ্য, কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে দিল্লি, মুম্বই, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, বারাণসী, ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটি ও বাগডোগরা রুটে বিমান চলাচল করে৷ এক সপ্তাহে ৭টি বিমান ও অপর সপ্তাহে ৬টি করে বিমান চলাচল করে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে।
আরও পড়ুন: বেকারদের জন্য সুখবর! রামকৃষ্ণ মিশনে মাত্র ৩ মাসের কোর্সে চাকরির সুযোগ, জানুন
পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকাল যাত্রীরা মূলত ওই বিমানবন্দর থেকে যাতায়াত করেন। এছাড়াও বাঁকুড়া ও বীরভূম-সহ ঝাড়খণ্ডের কিছু যাত্রী আসেন এই বিমানবন্দরে। প্রসঙ্গত, হঠাৎই এই ইন্ডিগো বিমান পরিষেবা ব্যহত হওয়ার নেপথ্যে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র একটি বিধিকে দায়ী করা হয়েছে। দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমান পরিষেবায় নিরাপত্তা আরও বেশি মজবুত করতে একাধিক বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস বিধিনিষেধে পাইলট ও বিমানকর্মীদের কাজের সময় এবং বিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। ওই বিধিতে বলা হয়েছিল, প্রতি সপ্তাহে পাইলট এবং বিমানকর্মীদের বিশ্রামের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
সপ্তাহে মাত্র ২টি বিমান রাতে অবতরণ করাতে পারবেন এক জন পাইলট। এছাড়াও সপ্তাহে এক বারই কেবল পাইলট এবং বিমানকর্মীদের পর পর দু’দিন নাইট ডিউটি দেওয়া যাবে। কিন্তু বিমানসংস্থাগুলির অনুরোধে তা বার বার পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি নতুন বিধি কার্যকর করার জন্য ডিজিসিএ-কে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। জুন এবং নভেম্বরে দুই দফায় ধাপে ধাপে নির্দেশিকায় থাকা নিয়মাবলি কার্যকর করার পথে হাঁটে ডিজিসিএ। ওই নিয়মাবলীতে ইন্ডিগো সব থেকে বেশি সমস্যায় পরে৷ ফলে বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে অনিয়মিত পরিষেবা। কবে স্বাভাবিক হবে ইন্ডিগো পরিষেবা সেই বিষয়ে যেমন যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তেমনই চিন্তায় রয়েছেন।
দুর্গাপুর কাজী নজরুল বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৈলাশ মণ্ডল বলেন, এইরকম পরিস্থিতিতে আমাদের যাত্রীদের ভাড়ার টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। অপেক্ষারত যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে ও ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত খাওয়া-দাওয়া ও পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে৷ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের চেয়ে আমরা যাত্রীদের সুষ্ঠ ও ভাল পরিষেবা দিচ্ছি। আর আমাদের যাত্রীরা অধিকাংশই স্থানীয় হওয়ায় যাত্রীর সমস্যাও কম হচ্ছে৷ শনিবার কেবল মুম্বাইয়ে একটি বিমান বাতিল হয়েছে৷






