আর সেই শাড়ি, পোশাকে নকশা তৈরির কাজেই হাত লাগিয়েছেন গ্রামের মহিলারাও। যে মহিলারা আগে বাড়িতে গৃহবধূ হিসেবেই থাকতেন। বর্তমানে তাঁরাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। শাড়ি, পোশাকের উপর নকশা করে স্বনির্ভর হচ্ছেন গ্রামের একাধিক মহিলা।
আরও পড়ুন: গড়গড় করে বলছে গায়ত্রী মন্ত্র! দুবছর বয়সেই মুখস্ত ‘এইসব’? বাংলার এই বাচ্চার কর্মকাণ্ডে চক্ষুচড়কগাছ
advertisement
এই প্রসঙ্গে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রভাতি মণ্ডল, টুম্পা সাহারা বলেন, “কাঁথা স্টিচ, বোতাম, সেলাই, নকশা সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ এখানে হয়। আগে আমরা গৃহবধূ হয়ে বাড়িতেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। কিন্তু এখন এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে অনেকটা ভাল আছি। সকাল ১০:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হয়। মাঝে টিফিন করার জন্য অনেকটা সময় থাকে। এখানে কাজ করে আমরা যা উপার্জন করি সেটা সংসারেও দিই, আবার নিজেদের হাতখরচও চালাই। আমাদের আর্থিক পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘোড়ানাশ গ্রামের এই সংস্থার তৈরি শাড়ি ও পোশাকের ভাল খ্যাতি এবং চাহিদা রয়েছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংস্থার তৈরি পোশাকের একটা বড় অংশ পাড়ি দেয় বিদেশের মাটিতেও। মূলত স্থানীয় মহিলা তথা গৃহবধূদের স্বনির্ভর করে তুলতেই, তাদের এই কাজে যুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার।
এই প্রসঙ্গে সংস্থার কর্ণধার রাঘবেন্দ্র দাস জানান, “আমাদের সংস্থায় ট্রেলার দাদারা কাজ করেন। আমরা চিন্তাভাবনা করলাম যদি আমাদের সংস্থার কাজে গ্রামের মহিলাদের রাখা যায় তাহলে তাঁরাও স্বনির্ভর হবেন। তাঁদের আর্থিক উন্নতি হবে সঙ্গে আমাদেরও সুবিধা হবে। তাই মহিলারা এখন এখানে কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। আগামীদিনে এই সংস্থা আরও বড় করে ভাল কর্মসংস্থানের চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এখানকার তৈরি জিনিস রাজ্য, দেশের বিভিন্ন জায়গা সহ বিদেশেও যায়।”
আরও জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের একটা নির্দিষ্ট সময় মহিলারা এই কাজ করেন। বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও শাড়িতে নকশা তৈরির কাজ করে থাকেন তারা। এই কাজ করে একদিকে যেমন কাজ শেখা হয়, ঠিক তেমনই ভাল অর্থ উপার্জনও হয় বলে জানান এই সংস্থায় কাজ করা মহিলারা। তাদের উপার্জিত অর্থের কিছুটা অংশ বাড়িতে দেওয়ার পরেও, তারা নিজেরাও একটু একটু করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন এই কাজের হাত ধরেই।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী






