কোর্ট ওই মামলায় জামিন দেয় তাঁদের। কিন্তু তার পরেও এক বছর ধরে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে হলদিয়া উপ সংশোধনাগারে দিন কাটান সাধন যশওয়াল। অবশেষে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তদারকিতে মুক্তি পেলেন তিনি। হলদিয়া দুর্গাচক থানায় একটি চুরির ঘটনা দায়ের হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে হলদিয়ার দুর্গাচক থানা সাধন যশওয়াল সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। ওই মামলা বিচারের জন্য হলদিয়া মহকুমা আদালতে উঠলে, বিচারপতি সাধন যশওয়ালকে ১৪দিনের মাথায় জামিন দেন।
advertisement
কিন্তু সাধন যশওয়াল তার পরও এক বছর হলদিয়া উপশংসনাগারে বিচারাধীন বন্দি হিসাবেই ছিলেন। কারণ, তাঁর হয়ে কেউ বেলবন্ড জমা করেনি। আদালত তাঁকে ২০ হাজার টাকার বেল বন্ড ও ২০ হাজার টাকার লোকাল বন্ড জমা করার নির্দেশে দেন জামিনের শর্ত হিসাবে। কিন্তু তাঁর বাড়িতে কেউ না থাকায় আর সাধন যশওয়াল আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায়, সেই টাকা জমা হয়ে ওঠেনি। তাই হলদিয়া উপ সংশোধনাগারে বন্দি হিসাবেই দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। তা নজরে পড়ে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” আমাদের কাজের নিয়মমাফিক হলদিয়া উপ সংশোধনের পরিদর্শন চলে। পরপর দু’বার পরিদর্শন চলাকালীন ৫৬ বছর বয়সী ওই বিচারাধীন বন্দিকে দেখতে পাই। জানা যায় উনি জামিন পেলেও বেলবন্ড জমা না দেওয়ায় উপ সংশোধনাগারে রয়েছেন। জানা যায়, ওঁর বাড়িতে কেউ নেই ও আর্থিক সঙ্গতিও নেই। তাই বেলবন্ড জমা হয়নি। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে হলদিয়া ডিভিশনাল কোর্টে বিষয়টি তুলে ধরলাম। তারপর ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। জামিন পাওয়া সত্বেও প্রায় এক বছর ধরে উনি হলদিয়া উপসংসাধারনাগারে ছিলেন শুধুমাত্র বেলবন্ড জমা না দেওয়ার কারণে। অবশেষে তিনি মুক্তি পেলেন।’ জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের থেকে জানা যায়, এর পাশাপাশি আরেক বন্দিকেও ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে।







