এই মোবাইল ল্যাব গাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন খেলা, মেলা, হাট-বাজার ও দোকানে। খাবারে অতিরিক্ত রং মেশানো হয়েছে কি না, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রয়েছে কি না, এমনকি ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাল সংক্রমণ আছে কি না—সবই পরীক্ষা করা হচ্ছে এই অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে। ফলে সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর হচ্ছে নজরদারি।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে ১৬ লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়ল! পরীক্ষা কোন মাসে? জানিয়ে দিল SSC
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই পরিষেবা শুধুমাত্র বসিরহাট শহরেই সীমাবদ্ধ নয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট শহরের পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামীণ বাজার ও দোকানেও এই মোবাইল ল্যাব গাড়ি পৌঁছে গিয়ে খাবারের মান পরীক্ষা করছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
এর ফলে আর দোকান বা বাজার থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। স্পটেই পরীক্ষা হওয়ায় দ্রুত রিপোর্ট মিলছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সময় বাঁচছে, তেমনই ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হচ্ছে।
খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক অপরাজিতা মজুমদার জানান, এই মোবাইল ফুড টেস্টিং ল্যাব সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই চালু করা হয়েছে। বাজারে বিক্রি হওয়া খাবারের মান নিয়মিত পরীক্ষা করে ভেজাল রুখতেই এই উদ্যোগ। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের এই পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে গ্রামীণ ও সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এটি একটি বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছেন অনেকে।