শুধু দুর্গাপুরবাসী নয় শহরে বাইরে থেকে আসা বহু মানুষ ‘বড় কেটলি’তে চা পান করতে আসেন।বাঙালি সহ দেশের অধিকাংশ মানুষ ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে সকালটা শুরু করেন। এরপর চা প্রেমীদের সারাদিনে একাধিকবার চা খাওয়ার অভ্যাস তো আছেই। আবার অনেকেই বাড়ির তৈরি চায়ের থেকে দোকানের চা পান করতেই বেশি পছন্দ করেন। তাঁরা শহরতলীতে হোক বা গ্রামেগঞ্জে সেরা চায়ের দোকানের খোঁজ করে চা পান করতে চলে যান। চা মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে সতেজ করতে সাহায্য করে বলেই দাবি চা প্রেমীদের।
advertisement
তবে দোকানের নাম বড় কেটলি রাখার যথেষ্ট প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানের মালিক জয়ন্ত সরকার। তাঁর দাবি বর্তমান যুগে কেটলির ব্যবহার প্রায় উঠে গিয়েছে বললেই চলে।বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক কেটল থাকলেও দেখা মেলে না অ্যালুমিনিয়ামের সেই চায়ের কেটলির। তাই চায়ের সঙ্গে কেটলির ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এমন নামকরণ।
১১ ফুট গোলাকার ও চার ফুট উচ্চতা সম্পন্ন একটি বিশালকার লোহার কেটলি বানিয়ে দোকানের ওপর সাজিয়েছেন তিনি।এছাড়াও রংবেরঙের নকশা করা আরও কিছু কেটলি দিয়ে দোকানটিকে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
দোকানে বন্ধুরা পাশাপাশি বসে চা খাওয়ার জন্য সুন্দর টেবিল ও চেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে।জয়ন্তবাবু ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চায়ের ব্যবসা করতেন। তাঁর চায়ের সুনাম প্রথম থেকেই ছিল। এখন প্রতিদিন প্রায় কুড়ি থেকে তিরিশ কেজি দুধের চা তৈরি হয় এখানে। বড় কেটলির স্পেশাল চায়ের টানে সকাল বিকাল ভিড় জমায় চা প্রেমীরা।
দীপিকা সরকার