১৯৩০ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বসর গ্রামে ডাকা হয়েছিল এক মহাসভা। আশেপাশের ২৭টি গ্রামের মানুষ গিয়ে জমায়েত হয়েছিল সেখানে। স্বদেশের মুক্তির ডাক এখানে এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছিল যে, সেই খবর পৌঁছে যায় মহাত্মা গান্ধীর কানেও।
advertisement
গান্ধিজি নিজেও এসে যোগ দিয়েছিলেন এখানকার স্বদেশী আন্দোলনের কর্মযজ্ঞে। সেই স্মৃতিকে অমর করে রাখতেই গ্রামে তৈরি হয় গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্র। কিন্তু কালের করাল গ্রাসে এখন সেই স্মৃতি বিলুপ্তির পথে। গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্রের মাটির দেওয়াল জরাজীর্ণ। ঘূর্ণিঝড় আমফানে আরও ক্ষতবিক্ষত হয়েছে এই কেন্দ্র। একসময় যেখানে স্বাধীনতার গান গাওয়া হতো, আজ সেখানে নীরবতার ধুলো জমে আছে।
আরও পড়ুনঃ ২৫ বছর ধরে মৃত ম্যানগ্রোভের শিকড় কুড়ান ‘ইনি’! কেন জানেন? জানলে আপনিও ভাববেন ‘এও সম্ভব’!
তবুও গ্রামের মানুষ ভুলে যাননি অতীতকে। নিশিকান্ত মজুমদারের পরিবারের সদস্য তুষার কান্তি মিস্ত্রির কথায়, “স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রতিবছর অনুষ্ঠান করা হয় এখানে।” অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে স্বাধীনতার দিনগুলির কথা গ্রামের নতুন প্রজন্ম তেমন একটা মনে রাখে না বলে আক্ষেপ করেছেন গ্রামের প্রবীণ মহিলা তারারানি বৈদ্য। তিনি জানিয়েছেন, “গ্রাম তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের জোয়ারে ভেসেছিল। সেই জোয়ার এখন ম্লান। এই গান্ধি স্মারক নিধি কেন্দ্র বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। “