সকাল ছয়টা থেকে জল নিতে, বড় বড় প্লাস্টিকের জার, হাঁড়ি, কলসি এবং বোতল নিয়ে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ আবার পুকুর থেকেই জল তুলে পান করছেন এক নিমেষে। গ্রামবাসীদের একাংশের মতে ঠাকুর পুকুরের জলে রান্না খুব ভাল হয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই জল পান করেও কেউ অসুস্থ হননি বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে চিকিৎসক বলছেন অন্য কথা। বাঁকুড়া জেলার প্রথম কনসালটেন্ট মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও জেনারেল ফিজিশিয়ান ডক্টর শায়ন পাল জানান, “সাম্প্রতিক খুবই ভাইরাল গুলেন বারে সিনড্রোম অপরিচিত জল থেকে হতে পারে। এছাড়া অপরিচিত পুকুরের জল পান করলে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের পরজীবী সংক্রমণের ফলে রক্তাল্পতা দেখা যায়।”
advertisement
আরও পড়ুন: পলাশের নেকলেস পরেছে বাঁকুড়ার রাণী, মুকুটমণিপুর হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটক
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বেলবনি গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে জলের কল। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের মতে সেই জল তারা পান না করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। নিজেদের সুবিধা মত পুকুরের জল এবং কলের জল ব্যবহার করেই কাজ চালাচ্ছেন বেলবনির মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত দেব জানান, “এই পুকুরে কাউকে নামতেই দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র পান করার জলের জন্য আমরা এই পুকুরকে ব্যবহার করি। বেলবনির বাসিন্দা যারা দিল্লি কিংবা মুম্বাইতে রয়েছেন তারাও এই জল নিয়ে যান।”
বেলবনি গ্রামের গৃহবধূ সাগরি মাঝি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন পুকুরের জল। যদিও তার বাড়িতে লাগানো রয়েছে দু-দুটি কল। সাগরি মাঝি বলেন, “বাড়িতে কল লাগানো থাকলেও আমরা পুকুরের জল পান করি এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করি। কেউ কোনওদিন অসুস্থ হননি। খুব ভাল রান্না হয়।”
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





