TRENDING:

Nolen Gur: নলেন গুড়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে! আগামী দিনে নাও পাওয়া যেতে পারে খাঁটি খেজুর রস, আশঙ্কা শিউলিদের

Last Updated:

Nadia Nolen Gur: অনিশ্চয়তার মুখে শীতের খাঁটি নলেন গুড়ের ভবিষ্যৎ। হয়তো আগামী দিনে আর নাও পাওয়া যেতে পারে নলেন গুড়। কোন বড় সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে খেজুর রসের শিল্প?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মাজদিয়া, নদিয়া, মৈনাক দেবনাথ: শিউলির অভাব, ভবিষ্যতে আর নাও পাওয়া যেতে পারে খাঁটি নলেন গুড়। শীত পড়তেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় নদিয়ায় কৃষ্ণগঞ্জ, মাজদিয়া গ্রামের পথঘাট। ভোরের ঠান্ডা হাওয়ায় মিশে থাকে খেজুর রস জ্বাল দেওয়ার মিষ্টি গন্ধ। মাঠের ধারে বড় বড় চুল্লিতে পেতলের হাঁড়ি বসিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান গ্রামের শিউলিরা। প্রতিদিন তারা গুড়ের হাঁড়ি নিয়ে রওনা দেন সারা কৃষ্ণগঞ্জজুড়ে বিখ্যাত মাজদিয়ার গুড়ের হাটের উদ্দেশে। খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি এই গুড়ের জন্য সারা বছর শীতকালের অপেক্ষা করে থাকেন বাংলার মানুষ।
advertisement

কিন্তু এবারের শীতের গল্পটা অন্যরকম। অতি বর্ষার কারণে দীর্ঘদিন গাছ কাটা সম্ভব না হওয়ায় খেজুর রসের পরিমাণ এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। ফলে গুড়ের উৎপাদনও কমেছে আগের বছরের তুলনায় বহু গুণ। হাটে সরবরাহ কম থাকায় গুড়ের দাম কিলোপ্রতি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় পৌঁছেছে। তবুও আশা হারাচ্ছেন না শিউলিরা। তাদের বিশ্বাস, “শীতটা যদি জোরে পড়ে, রসও ভাল আসবে, গুড়ের মানও বাড়বে।”

advertisement

আরও পড়ুনঃ নিয়ম ভেঙে প্ল্যাটফর্মে দাপিয়ে বেরাচ্ছে ব্যাটারি চালিত গাড়ি! হাওড়া স্টেশনের কুলিদের ভাড়ায় টান, বাধ্য হয়ে রেল প্রশাসনের দারস্থ

এই সংকটের আরেকটি বড় কারণ – নতুন প্রজন্মের আগ্রহহীনতা। গ্রামের বয়স্ক অল্প কয়েকজন শিউলি ছাড়া আর কেউই আর এই পেশায় নামছেন না। শীতের রাতের ঠান্ডা হাওয়া কাটিয়ে গাছে ওঠা, রস নামানো, ভোরবেলা চুল্লির পাশে দাঁড়িয়ে গুড় জ্বাল দেওয়া – এই কঠিন পরিশ্রম আর নিতে চাইছেন না বর্তমান যুবসমাজ। মোবাইল আর দ্রুত আয়ের মোহে তারা বেছে নিচ্ছে সহজ পন্থা। ফলে শিউলি পেশায় পড়েছে তীব্র অভাব।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কম খরচে সহজ পদ্ধতিতে চাষে লাভ এনে দিতে পারে মুসুর, খেসারি ও সরিষা!
আরও দেখুন

যেখানে একসময় পরিবারে পরিবারে খেজুর রসের হাঁড়ি জ্বলত, সেখানে আজ শুধু কয়েকজন অভিজ্ঞ শিউলির হাতেই টিকে আছে সেই ঐতিহ্য। শিউলি সংকটে আজ টলমল মাজদিয়ার গুড়েরহাট। আশঙ্কা এই পেশা হারিয়ে গেলে বাঙালির জীবন থেকে হারিয়ে ‌যাবে খাঁটি নলেন পয়রা গুড়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nolen Gur: নলেন গুড়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে! আগামী দিনে নাও পাওয়া যেতে পারে খাঁটি খেজুর রস, আশঙ্কা শিউলিদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল