কিন্তু এবারের শীতের গল্পটা অন্যরকম। অতি বর্ষার কারণে দীর্ঘদিন গাছ কাটা সম্ভব না হওয়ায় খেজুর রসের পরিমাণ এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। ফলে গুড়ের উৎপাদনও কমেছে আগের বছরের তুলনায় বহু গুণ। হাটে সরবরাহ কম থাকায় গুড়ের দাম কিলোপ্রতি ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় পৌঁছেছে। তবুও আশা হারাচ্ছেন না শিউলিরা। তাদের বিশ্বাস, “শীতটা যদি জোরে পড়ে, রসও ভাল আসবে, গুড়ের মানও বাড়বে।”
advertisement
এই সংকটের আরেকটি বড় কারণ – নতুন প্রজন্মের আগ্রহহীনতা। গ্রামের বয়স্ক অল্প কয়েকজন শিউলি ছাড়া আর কেউই আর এই পেশায় নামছেন না। শীতের রাতের ঠান্ডা হাওয়া কাটিয়ে গাছে ওঠা, রস নামানো, ভোরবেলা চুল্লির পাশে দাঁড়িয়ে গুড় জ্বাল দেওয়া – এই কঠিন পরিশ্রম আর নিতে চাইছেন না বর্তমান যুবসমাজ। মোবাইল আর দ্রুত আয়ের মোহে তারা বেছে নিচ্ছে সহজ পন্থা। ফলে শিউলি পেশায় পড়েছে তীব্র অভাব।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যেখানে একসময় পরিবারে পরিবারে খেজুর রসের হাঁড়ি জ্বলত, সেখানে আজ শুধু কয়েকজন অভিজ্ঞ শিউলির হাতেই টিকে আছে সেই ঐতিহ্য। শিউলি সংকটে আজ টলমল মাজদিয়ার গুড়েরহাট। আশঙ্কা এই পেশা হারিয়ে গেলে বাঙালির জীবন থেকে হারিয়ে যাবে খাঁটি নলেন পয়রা গুড়।





