সাধারণ পায়ে হাঁটা পথও যেখানে বহু মানুষের কাছে কষ্টসাধ্য, সেখানে দন্ডি কেটে এতটা পথ অতিক্রম করার সংকল্পে অবিচল থাকাটা নিঃসন্দেহে এক অবিশ্বাস্য মানসিক শক্তির পরিচয়। প্রতিটি পদে ব্যথা, ক্লান্তি আর কষ্টকে অগ্রাহ্য করে তাঁরা এগিয়ে চলেছে শুধু একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে পিতা-মাতার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায়।
আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! সৎকারের ঝামেলা শেষ, এবার জোড়া শ্মশান সুন্দরবনবাসীদের জন্য
advertisement
পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাঘারডাঙ্গা গ্রামের দুই যুবক প্রবীর বাউরি ও ভাস্কর বাউরি। নিতুড়িয়ার ডিসেরগড় থেকে আনাড়ার শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে দন্ডি কেটে দীর্ঘ প্রায় ৫০ কিলোমিটারের এই যাত্রা শুরু করেছে তারা। জানা যায়, ছোট থেকেই তারা মহাদেবের ভক্ত। তাই তাদের প্রিয় দেবতার কাছে এবার পিতা-মাতার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার জন্য এই কঠিন যাত্রাপথ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শ্রাবণের এই পবিত্র সময়ে জন্মদাতা পিতা-মাতার প্রতি তাঁদের এই নিঃস্বার্থ ত্যাগ দেখে পথচলতি সাধারণ মানুষ অনেকেই হতবাক হচ্ছেন। পিতা-মাতার প্রতি দুই সন্তানের এমন ভালবাসা নিঃসন্দেহে সমাজে একটি সুন্দর বার্তা বয়ে আনবে। অনেকেই বলছেন, ভক্তি, ভালবাসা আর বিশ্বাস থাকলে সমস্ত কিছুই সম্ভব, তা হইত প্রমাণ করলেন প্রবীর আর ভাস্কর। আজকের এই দৌড় ঝাঁপের যুগেও এখনও কিছু সন্তান তাঁদের পিতা-মাতার জন্য এমন আত্মত্যাগে প্রস্তুত।
শান্তনু দাস





