একদম সাদামাটা ঘরোয়া নিরামিষ খাবার থেকে শুরু করে ৫০০ জনের এলাহী আয়োজন, সবই করছেন তিনি। আলু সেদ্ধ ভাত থেকে শুরু করে মাংস, লুচি, ফ্রাইড রাইস কিম্বা পমফ্রেট বার্বিকিউ, সবই একা হাতে করে থাকেন শিপ্রা গড়াই। স্বামী একজন চাকুরীজীবী, একমাত্র কন্যা ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। এই রান্না করার বিষয়টি একদমই পরিকল্পনা করে হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : এবারও কালীপুজোয় ভুতুড়ে থিম ‘হটকেক’ দুর্গাপুরবাসীর কাছে! দামোদরের পাড়ে ৩০ ফুটের চামুণ্ডা নজর কাড়ল
শিপ্রা গড়াই বলেন, মেয়ে স্কুলে চলে যাওয়ার পর তার হাতে অগাধ সময় ছিল। সেই সময়টার পূর্ণ ব্যবহার করতে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেন হোম ডেলিভারি। তারপর থেকে আর ঘুরে দেখেননি তিনি। একের পর এক কাস্টমার জুড়তে শুরু করেন, একা হাতে চলে রান্না। ঘরেই চলে রান্না। রয়েছে ডেলিভারি বয়। টোটোয় করে করা হয় বড় ডেলিভারি। শুধু নিজের জন্য ভাবব এরকম নয়, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলব এই মানসিকতাই থাকা উচিত একজন উদ্যোক্তার মনে করছেন বাঁকুড়ার গৃহবধূ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিপ্রা গড়াই বলেন, আমি একা রোজগার করব বলে কখনও ভাবি নি। ভেবেছিলাম আমার মাধ্যমে যদি আরও কিছু মানুষের একটু সাহায্য হয়। সেটা করতে পারছি। প্রতিটি গৃহবধূ, যারা সংসার সামলে কিছুটা সময় জোগাড় করতে পেরেছেন, তাদের কিছু না কিছু করা উচিত। আর্থিক স্বনির্ভরতা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যে আত্মবিশ্বাস এখন পেয়েছেন শিপ্রা দেবীও।





