পায়রার জোড়াকে আমরা প্রেম ও শান্তির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করি। বিশেষ করে সাদা পায়রাকে খুব শুভ বা শান্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। প্রচলিত কথা অনুযায়ী, “জীবে প্রেম করে যেই জন/ সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” অর্থাৎ জীবের সেবা হল ইশ্বরের সেবা। জীবের প্রতি অগাধ ভালবাসা নাজমুলের।
advertisement
সাগরদিঘীর পাটকেলডাঙ্গা অঞ্চলের বাসিন্দা নাজমুল হক। পেশায় একজন ব্যবসায়ী তিনি। পরিবার নিয়ে ছোট্ট সংসার। কিন্তু বাড়িতে তিন হাজারের বেশি পায়রা লালনপালন করে থাকেন। আর এরাও যেন তার পরিবারের সদস্য। পায়রার প্রতি ভালবাসা আর সেখান থেকেই কিশোর বয়স থেকে এই প্রেম। যখন মানুষে মানুষে বিদ্বেষ হানাহানির মতো ঘটনা ঠিক তখন পায়রা পুষে সমাজে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন নাজমুল। দৈনন্দিন গড়ে সকাল ও রাতে পায়রাকে ডেকে খাবার দিয়ে থাকেন নাজমুল হক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নাজমুল হকের কথায়, পায়রা এমন একটি পাখি, যার মধ্যে অশুভ শক্তিকে দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। পায়রাকে দানাশস্য খাওয়ানো হয়। বাড়িতে পায়রা থাকলেও সেই বাড়িতে চট করে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। যে কোন শুভ অনুষ্ঠানে পায়রা উড়ানো হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই এই পায়রার প্রতি ভালবাসা। আর তার ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা ছাদ ভর্তি পায়রা হাজির হয়, এদেরকে দানাশস্য দিয়ে তিনিও আনন্দ উপভোগ করেন। নাজমুলের পায়রার এই কর্মকান্ড দেখতে মাঝে মাঝে হাজির হন অনেকেই।
কৌশিক অধিকারী





