স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম-১ ব্লকের উক্তা অঞ্চলের পিচকুড়ি মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ২৪০ জন আবাসিক পড়ুয়া রয়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ১৫ জন শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মী। প্রতিদিনের মতই শনিবার সকালেও পড়ুয়াদের নিয়মিত খাবার পরিবেশন করা হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই কয়েকজন পড়ুয়ার বমি, পেট ব্যথা ও পাতলা মলত্যাগের সমস্যা শুরু হয়। প্রথমে বিষয়টি তেমন গুরুত্ব না দিলেও বিকেলের পর পরিস্থিতি হঠাৎ করেই জটিল হয়ে ওঠে। অসুস্থ পড়ুয়ার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়, এবং একে একে ৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
advertisement
আউশগ্রাম-১ ব্লকের বিএমওএইচ ডক্টর জয়াদ্রুত বিশ্বাস বলেন, “পিচকুড়ি মাদ্রাসার ৫০ জনের বেশি পড়ুয়া খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসক দল তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে একজন পড়ুয়ার অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। তবে পিচকুড়ি মাদ্রাসার সম্পাদক আইনুল হক চৌধুরী বলেন, “প্রতিদিনের মত এদিনও পড়ুয়াদের একইভাবে খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। তবে ঠিক কীভাবে এমনটা ঘটল, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”
ঘটনার জেরে এলাকায় প্রবল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অসুস্থ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই উদ্বেগের সঙ্গে তাঁদের সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন।
