পৌরসভাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্য দিনের আলোয় প্রায় ৩০ টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল বাগান মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জেলা সদর বহরমপুরের এক নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কারবালা রোড শর্মাপাড়া এলাকায়। একটি বাগান থেকে প্রায় ৩০টিরও বেশি সেগুন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ বন্ধু মিলে পুকুরে স্নান করতে যাওয়াই কাল! অকালে প্রাণ গেল অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ার
advertisement
কারবালা রোড এলাকার শর্মা পাড়ায় বিঘার পর বিঘা বাগান রয়েছে সর্দার পরিবারের। প্রায় ১০ কাঠা জমির উপর সেগুন গাছের বাগান রয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৩০টিরও বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাগান মালিক শান্তি ওঁরাও, সোমেন ওঁরাও তারা পৌরসভার অনুমতিকে তোয়াক্কা না করেই গাছ কেটে ফেলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তারা বাধা দিতে গেলে, তাদেরকে একটি অনুমতিপত্র দেখানো হয়। এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ বহরমপুর শাখার পক্ষ থেকে একদল প্রতিনিধি ওই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় মানুষজনের দাবি যে হারে বেড়ে চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। যার ফলে জন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ধরনের গাছ কাটা। এত পরিমাণ গাছ কাটার ফলে ওই এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষিকা শিল্পী সেন বলেন, বর্তমানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে গেলে প্রত্যেকটি মানুষকে একটি করে চারাগাছ রোপন করতে হবে। কিন্তু এমত পরিস্থিতিতে যে হারে বৃক্ষ ছেদনের ধ্বংসলীলায় মেতেছে সাধারণ মানুষ আগামী দিনে বড়সড় বিপর্যয় আসতে চলেছে পৃথিবীর বুকে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পৌর সদস্যা কাকলি গোস্বামী জানান, “বাগান কর্তৃপক্ষ কোনরূপ লিখিত পত্র আমাদের হাতে জমা দেয়নি, এক কথায় পৌরসভাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই আইন বিরুদ্ধে কাজ করল ওই বাগান মালিক। এই বিষয়টি পৌরসভার পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে। অবিলম্বে ওই বাগান মালিককে একাধিক গাছ লাগাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বাগান মালিক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়নি, তাদের পক্ষ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বর্তমানে বেড়ে চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন, যার ফলে সমস্যায় আমজনতা। সাধারণ মানুষের জন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৌশিক অধিকারী





