Bangla News: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর কর্মকাণ্ড দেখলে স্যালুট জানাবেন আপনিও

Last Updated:

Bangla News: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের খাড়ান গ্রামের দেবাশীষ রায়। চাঁদপুর হাড়োচরণ বিদ্যামন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সে।

দেবাশীষ রায় 
দেবাশীষ রায় 
পটাশপুর, মদন মাইতি: এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি তার কর্মকাণ্ড দেখলে স্যালুট জানাবেন আপনিও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের খাড়ান গ্রামের দেবাশীষ রায়। চাঁদপুর হাড়োচরণ বিদ্যামন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সে। কিন্তু শুধু বই-খাতায় ডুবে নেই দেবাশীষ। পড়াশোনার পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর নেশা। বয়স কম হলেও মানুষের কষ্ট তাঁকে ভিতর থেকে নাড়া দেয়। তাই সময় পেলেই ছুটে যায় অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি।
শুরুটা হয় খুব ছোট উদ্যোগ থেকে। বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা। ‌বাবার বাড়তি সবজি দেখেই প্রথম উদ্যোগ নেয় সে। এলাকায় কয়েকজন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে একা থাকতে দেখে খারাপ লাগত তাঁর। কারও রান্না করার শক্তি নেই। কারও আবার বাজারে যাওয়ার মানুষ নেই। দেবাশীষ সিদ্ধান্ত নেয় নিজের মত করে কিছু করবে। বাবার বাজার থেকে ফিরে আসা বাড়তি সবজি নিয়ে গিয়ে পৌঁছে দেয় তাদের কাছে। প্রথমে ভয় ছিল। কে কেমন নেবে তা বুঝতে পারছিল না। কিন্তু বৃদ্ধাদের হাসিমুখ দেখে সাহস বাড়ে তার। ধীরে ধীরে সেই ছোট উদ্যোগ বড় রূপ নিতে থাকে। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক তার কাজে মুগ্ধ হন। তিনিও পাশে দাঁড়ান। আবার এলাকার এক দাদাও তাঁকে নিয়মিত সহযোগিতা করতে শুরু করেন।
advertisement
advertisement
তারপর শুরু হয় আরও বড় কাজ। কারও শীতবস্ত্র নেই, কেউ ঠান্ডায় কাঁপছে। নিজের জমানো টাকা দিয়ে আর সাহায্যের অর্থ দিয়ে শীতের সময় সে নিজেই শাল, সোয়েটার, কম্বল কিনে দেয় অসহায় মানুষদের। এত ছোট বয়সে এরকম বড় দায়িত্ব নেওয়ায় সবাই অবাক। দেবাশীষ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কাজের ছবি ও তথ্য পোস্ট করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে তার এই উদ্যোগ। বন্ধুদের মধ্যে প্রশংসা বাড়তে থাকে। অনেকেই এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়ান। কেউ টাকা দেন। কেউ সবজি বা চাল-ডাল দিতে চান। এখন বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে পৌঁছে যায় তাঁরা।
advertisement
এখন দেবাশীষ দিনরাত পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি নিয়ম করে সামাজিক কাজও করে। নিয়ম করে সে চাল-ডাল-সবজি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। আজকের তরুণ সমাজে যেখানে অনেকেই মোবাইলে আসক্ত, সেখানে দেবাশীষের এই মানবিক উদ্যোগ সত্যিই অনুপ্রেরণার। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তাকে উৎসাহিত করে। এলাকার মানুষও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকে বলে, এই বয়সে এমন মানসিকতা বিরল। সত্যিই, দেবাশীষ রায় এখন উপকূল এলাকার সাধারণ ছেলেদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে কী হবে তা সময় বলবে। তবে এখনই তার এই মানবিক পথচলা সমাজে নতুন বার্তা ছড়াচ্ছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bangla News: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর কর্মকাণ্ড দেখলে স্যালুট জানাবেন আপনিও
Next Article
advertisement
'এই বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই...', রাজ্যের ভোটার হতে চেয়ে আবেদন সিভি আনন্দ বোসের
'এই বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই...', রাজ্যের ভোটার হতে চেয়ে আবেদন সিভি আনন্দ বোসের
  • বাংলার ভোটার হতে চেয়ে আবেদন করলেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়," এই বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই। রবীন্দ্রনাথ যে হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন। সেই বাংলায় আমি ভোটার হতে চাই। আমার পদবি 'বোস'। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র ও বোস, আমি মানসিক, সাংস্কৃতিক ভাবে বাংলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই

VIEW MORE
advertisement
advertisement