TRENDING:

Electric Bill: প্রথমে ১.৯৩, পরে দাঁড়ায় ২.৮৩ লক্ষ! BPL মিটারে অবিশ্বাস্য ইলেকট্রিক বিল, কীভাবে সম্ভব খতিয়ে দেখছে দফতর

Last Updated:

West Medinipur News Electric Bill: বৃদ্ধের বাড়িতে BPL মিটার, অথচ সাম্প্রতিক বিলের অঙ্ক ২ লক্ষ ৮৩ টাকা। গরিব ভূমিহীন এই বৃদ্ধের দাবি, এত বড় বিল পাওয়ার পর তিনি মানসিক চাপে ভুগছেন। এলাকাবাসীরাও অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন এই বিলকে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
চন্দ্রকোনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ধাইখণ্ড গ্রামে দেখা দিয়েছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিক অঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে বৃদ্ধ গোলাম নবী খানের। বৃদ্ধের বাড়িতে BPL মিটার, অথচ সাম্প্রতিক বিলের অঙ্ক ২ লক্ষ ৮৩ টাকা। গরিব ভূমিহীন এই বৃদ্ধের দাবি, এত বড় বিল পাওয়ার পর তিনি মানসিক চাপে ভুগছেন। এলাকাবাসীরাও অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন এই বিলকে। তাদের প্রশ্ন, “একজন BPL গ্রাহকের বাড়িতে কীভাবে এত বিপুল অঙ্কের বিল আসতে পারে?” এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে ধাইখণ্ড গ্রামে।
advertisement

বৃদ্ধ গোলাম নবী খান এখন এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে ছুটছেন বিদ্যুৎ দফতরের দ্বারে দ্বারে। গোলাম নবী খান জানান, বছর কয়েক আগে শিলাবতী নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় তার একমাত্র বসতবাড়ি। তারপর থেকে গ্রামেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন তিনি। বহু কষ্টে বিদ্যুৎ দফতর থেকে একসময় মিটার সংযোগ নেন, কিন্তু প্রথম বড় অঙ্কের বিল আসে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বিল দেখে হতভম্ব গোলাম নবী লিখিতভাবে অভিযোগ জানান বিদ্যুৎ দফতরে। কিন্তু সেই সময়ও সমস্যা মেটেনি। এরপর আবার কয়েকদিন আগে হাতে আসে আরও বড় অঙ্ক ২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। গ্রামের মানুষের দাবি এটা কোনওভাবেই যৌক্তিক নয়।

advertisement

আরও পড়ুন: এক চিলতে জায়গাতেই পুষ্টির খনি! পুষ্টিবাগানের সঠিক পদ্ধতি নজর কাড়ছে এলাকায়, লাভের মুখ দেখছেন ভেটকিপুরের মহিলারা

View More

গোলামকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের কথায়, “একজন বৃদ্ধ, ভূমিহীন, BPL তালিকাভুক্ত মানুষকে এভাবে দিশেহারা করে দেওয়া ঠিক নয়।” অন্যদিকে, গোলামের বক্তব্য “আমি গরিব মানুষ, এত বড় বিল কীভাবে জমা দেব? দফতরের কাছে লিখিত আবেদনও করেছি, তবু কোনও সমাধান মেলেনি।” এদিকে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতরের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে চন্দ্রকোনা বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর ২০১০ সাল থেকে নাকি কোনও বিল পরিশোধ করেননি গোলাম নবী খান। দফতরের দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং তার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীত জমে ক্ষীর বারুইপুরে, ২০ রকমের পিঠেপুলি নিয়ে শুরু পিঠেপুলি উৎসব! চলবে কয়েকদিন
আরও দেখুন

অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দারা মনে করছেন, তদন্ত যতই হোক না কেন, একজন দরিদ্র BPL গ্রাহকের কাছে এমন অস্বাভাবিক অঙ্কের বিল আসা নিজেই বড় প্রশ্নের বিষয়। তাই তারা চাইছেন দ্রুত সমাধান ও মানবিক হস্তক্ষেপ। এখন দেখার এই দীর্ঘদিনের জটিল সমস্যার সমাধান কীভাবে করে বিদ্যুৎ দফতর। বৃদ্ধ গোলাম নবী খানের ভরসা এখন শুধুই প্রশাসনের সদুদ্যোগ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Electric Bill: প্রথমে ১.৯৩, পরে দাঁড়ায় ২.৮৩ লক্ষ! BPL মিটারে অবিশ্বাস্য ইলেকট্রিক বিল, কীভাবে সম্ভব খতিয়ে দেখছে দফতর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল