বৃদ্ধ গোলাম নবী খান এখন এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে ছুটছেন বিদ্যুৎ দফতরের দ্বারে দ্বারে। গোলাম নবী খান জানান, বছর কয়েক আগে শিলাবতী নদীর গর্ভে তলিয়ে যায় তার একমাত্র বসতবাড়ি। তারপর থেকে গ্রামেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন তিনি। বহু কষ্টে বিদ্যুৎ দফতর থেকে একসময় মিটার সংযোগ নেন, কিন্তু প্রথম বড় অঙ্কের বিল আসে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বিল দেখে হতভম্ব গোলাম নবী লিখিতভাবে অভিযোগ জানান বিদ্যুৎ দফতরে। কিন্তু সেই সময়ও সমস্যা মেটেনি। এরপর আবার কয়েকদিন আগে হাতে আসে আরও বড় অঙ্ক ২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। গ্রামের মানুষের দাবি এটা কোনওভাবেই যৌক্তিক নয়।
advertisement
গোলামকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের কথায়, “একজন বৃদ্ধ, ভূমিহীন, BPL তালিকাভুক্ত মানুষকে এভাবে দিশেহারা করে দেওয়া ঠিক নয়।” অন্যদিকে, গোলামের বক্তব্য “আমি গরিব মানুষ, এত বড় বিল কীভাবে জমা দেব? দফতরের কাছে লিখিত আবেদনও করেছি, তবু কোনও সমাধান মেলেনি।” এদিকে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতরের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে চন্দ্রকোনা বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর ২০১০ সাল থেকে নাকি কোনও বিল পরিশোধ করেননি গোলাম নবী খান। দফতরের দাবি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং তার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দারা মনে করছেন, তদন্ত যতই হোক না কেন, একজন দরিদ্র BPL গ্রাহকের কাছে এমন অস্বাভাবিক অঙ্কের বিল আসা নিজেই বড় প্রশ্নের বিষয়। তাই তারা চাইছেন দ্রুত সমাধান ও মানবিক হস্তক্ষেপ। এখন দেখার এই দীর্ঘদিনের জটিল সমস্যার সমাধান কীভাবে করে বিদ্যুৎ দফতর। বৃদ্ধ গোলাম নবী খানের ভরসা এখন শুধুই প্রশাসনের সদুদ্যোগ।





