গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালেই ডেঙ্গির প্রভাব বেশি হয় আর সেই কারণেই প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকর্মীকে পৌরসভার তরফ থেকে দেওয়া হল ছাতা। পৌরসভার তরফ থেকে জানা যায়, এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির একটি রোগীও ধরা পড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত কর্মীদের যথাযথ কাজের কারণেই এদিন এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। গত বছরে কাজের নিরিখে এদিন এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে এই সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের। যদিও এদিন শুধুমাত্র এই সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। নির্মল বন্ধুদের পুরস্কৃত করা হয়েছে এর আগেই।
advertisement
আরও পড়ুন: গাছেদের জন্য নারী! অভিনব উদ্যোগ শান্তিপুর পৌরসভার, জেনে নিন কি কি হতে চলেছে এই কর্মসূচিতে
নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভায় ১৪৭ টি টিমের ২৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করেন যাদের মধ্যে ২৮ জন রয়েছেন পরিদর্শনকারী সুপারভাইজার। এছাড়াও ১৫০ জন ফেক্টর কন্ট্রোল টিম তাদের মধ্যে রয়েছেন ২৪ জন সুপারভাইজার। আটজন ভেক্টর কন্ট্রোল মনিটরিং অফিসার এবং তিনজন কোর টিম মেম্বার। নির্মল সাথীর সদস্য রয়েছেন সর্বমোট ৩৭ জন। এদের যৌথ প্রয়াসীন আজ সমগ্র শান্তিপুর পৌরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত একটি ডেঙ্গির আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি বলেই জানা আছে পৌরসভার তরফ থেকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গত বছরের নিরিখে ডেঙ্গি নির্মূল হয়েছে শান্তিপুর থেকে তাই সেই কারণে খুশি পৌরসভাও। আর এই কাজে যুক্ত থাকা সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের তাদের কাজের নিরিখে করা হয়েছে পুরস্কৃত। বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৮৭ জনকে মেডেল সার্টিফিকেট তো বটেই উপহার হিসেবে তীব্র দাবদাহ এবং বর্ষাকালে বৃষ্টি যাতে তাদের কাজে ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে তার জন্য দেওয়া হল ছাতা। শুধু শান্তিপুর পৌরসভা নয় সারা বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেঙ্গি নির্মূল করতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে অনুপ্রেরণা যোগাতে এই ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের পুরস্কারের আয়োজন করে থাকেন। নিজেদের কাজের নিরিখে পৌরসভার তরফ থেকে সম্মান ও পুরস্কার পেয়ে খুশি সকল স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
Mainak Debnath





