আজকে আপনাদের শোনাবো এক মানুষের গল্প। যিনি হয়তো পেশাগতভাবে বীরভূমের সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ মন্দিরের মূল সেবায়েত। তবে মন্দিরে মা তারার আরাধনা করার পাশাপাশি তিনি একজন গায়কও বটে। তারাপীঠ এলাকার মানুষজন তাঁকে তারাপীঠ মন্দিরের পুরোহিত হিসাবে কম বরং চেনেন গায়ক তারক হিসেবে। তারাপীঠ এলাকা চত্বরের প্রায় ৯০% মানুষই এই গায়ক তারককে চেনেন।
advertisement
তবে হঠাৎ কেন মন্দিরের পুজো করার পাশাপাশি তিনি গায়ক তারক হয়ে উঠলেন! এই বিষয়ে অবশ্য সেই গায়ক তারক ওরফে তারকনাথ রায় জানান বহু বছর আগে তাঁর বাবা তাঁকে জন্মদিনের উপহার দিয়েছিলেন একটি টেপ রেকর্ডার, সঙ্গে দিয়েছিলেন কিশোরকুমারের গানের বেশ কয়েকটি ক্যাসেট। কারণ আজ থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ক্যাসেটের রমরমা বাজার ছিল। সেই থেকে গান এবং কিশোর কুমারের প্রতি আলাদাই ভালবাসা জন্মে যায় তারকবাবুর। সেই সময় বয়স তখন ১৮ এর গণ্ডি পেরোয়নি, সেই সময় বয়স মাত্র ১৫-১৬ বছর।
সেই ১৫ অথবা ১৬ বছর বয়স থেকে আজ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১০০ এর বেশি অনুষ্ঠানে স্টেজে গান গেয়েছেন। কখনও তিনি তার কন্ঠে ফুটিয়ে তুলেছেন কিশোরকুমার, অথবা কখনও কুমার শানু আবার কখনও শ্যামাসঙ্গীত গেয়েছেন দরদ দিয়ে। এখনও পর্যন্ত তিনি কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান এমনকি তাঁর নিজের বাসস্থান অর্থাৎ তারাপীঠেরও বিভিন্ন জায়গায় গান গেয়ে চলেছেন। উদ্দেশ্য টাকা উপার্জন বা পেশা নয়, পুরোটা তিনি করে চলেছেন নিজের কাজের ফাঁকে নেশা হিসাবে।





