বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, ঝোরপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা এদিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ইছামতি নদীর ধারে টহলদারি করার সময় কিছু সন্দেহজনক নড়াচড়া লক্ষ্য করেন। বাংলাদেশ দিক থেকে দুই সন্দেহভাজন পাচারকারী ভারতীয় সীমান্তের দিকে এগোচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ভারতের দিকে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা সহযোগীদের যোগাযোগের চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানরা সতর্ক সংকেত দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: নদিয়ার ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার’ রানাঘাটের ধানতলা! বিদেশেও রফতানি এখানকার ফুল, তবে এখন বেড়েছে সমস্যা
জওয়ানদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা ঘন জঙ্গল এবং ইছামতি নদীকে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জওয়ানরা একটি সন্দেহজনক প্যাকেট উদ্ধার করেন। প্যাকেট খুলতেই সামনে আসে বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা। সব নোটই যে সম্পূর্ণ জাল, তা প্রাথমিক তদন্তেই নিশ্চিত হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিএসএফ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া জাল নোটগুলি পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, “জাল মুদ্রা পাচার দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। আমরা কোনওভাবেই দেশের ক্ষতিতে এমন কার্যকলাপ হতে দেব না।” বিএসএফের এই সফল অভিযান সীমান্ত অঞ্চলে বাড়তে থাকা জাল নোট চোরাচালানকারী চক্রের বিরুদ্ধে বড় বার্তা বলেই মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।






