Peanut Business: ভুবনের 'কাঁচা বাদাম' অতীত! এবার বাজার কাঁপাচ্ছে স্বাদে লাজবাব রাজস্থানের 'ভাজা বাদাম', ভাজা হয় বালির বদলে নুনে
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
West bardhaman Peanut Business: ভাইরাল 'কাঁচা বাদাম' নয় ! বিশেষ প্রক্রিয়ার 'ভাজা বাদাম' এর চাহিদা হু হু করে বেড়েই চলেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। ভিন রাজ্যে উৎপাদিত ওই বাদাম বস্তা বস্তা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে হাজির হয়েছেন বাদাম বিক্রেতারা।
ভাইরাল 'কাঁচা বাদাম' নয় ! বিশেষ প্রক্রিয়ার 'ভাজা বাদাম' এর চাহিদা হু হু করে বেড়েই চলেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। ভিন রাজ্যে উৎপাদিত ওই বাদাম বস্তা বস্তা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে হাজির হয়েছেন বাদাম বিক্রেতারা। আর শীতের আমেজে দেদার বিকোচ্ছে ওই সুস্বাদু 'ভাজা বাদাম'। তবে তাঁদের এই বাদাম ভাজায় রয়েছে একটি বিশেষ পদ্ধতি। (ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)
advertisement
'বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম’ গানটি বাংলার বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের। এই একটি গানেই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছিলেন ভুবন। তবে জানেন কি এই গান আরও অনেকেরই জীবনে নিয়ে এসেছে সুখের হাওয়া। উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁর গানে লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে উত্তর প্রদেশের বাদাম ব্যবসায়ীদেরও। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
advertisement
শীতের মরশুমে উত্তরপ্রদেশ থেকে বেশ কয়েকজন চিনাবাদাম বিক্রেতা দু্র্গাপুর-সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে এসে বাদাম বিক্রি করেন। রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাঁরা ওই বাদাম নিয়ে আসেন। শহরের জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশে ডাঁই করে বাদাম রেখে বিক্রি করেন। বছর পাঁচেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের 'কাঁচা বাদাম' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার পরেই এক লহমায় বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে বাদামের বিক্রি।ওই সময় থেকেই উত্তরপ্রদেশের বাদাম বিক্রেতারা বাদাম নিয়ে হাজির হয়েছেন বাংলায়।
advertisement
উত্তরপ্রদেশ থেকে দুর্গাপুরে বাদাম বিক্রি করতে আসা এক বিক্রেতা বলেন, "বাদাম ভাজার হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারিনি। পরে এক গ্রাহকের কাছ থেকে কাঁচা বাদামের গান শুনে জানতে পারলাম, গানটি ভাইরাল হয়েছিল। তখনই বুঝতে পারি, বাদামের চাহিদা বাড়ার কারণ। আমরা একটি ২৫ জনের দল দুর্গাপুরে আসি। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত এখানে বাদাম বিক্রি করি।"
advertisement
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে খোলা সমেত <span class="Y2IQFc" lang="bn">চিনাবাদাম</span> ভাজার যেমন চাহিদা আছে তেমনই খোলা ছাড়া বাদাম ভাজার বেশ চাহিদা রয়েছে। শিল্পাঞ্চলে ভুজিয়ার দোকানিরা বাদাম ভাজেন গরম বালিতে। সে ক্ষেত্রে বাদাম খেতে গেলে মুখে বালি পড়ে। আর উত্তরপ্রদেশের বাদাম বিক্রেতারা কড়াইয়ে বালির বদলে নুন দিয়ে বাদাম ভাজেন। যার কারণে নুন দিয়ে ভাজা বাদাম অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।
advertisement
শিল্পাঞ্চলের বাদাম বিক্রেতারা যে দামে বাদাম বিক্রি করেন। সেই একই দামে ভিন রাজ্য থেকে আসা বাদাম বিক্রেতারাও 'ভাজা বাদাম' বিক্রি করেন। খোলা সমেত ও খোলা ছাড়া ১০০ গ্রাম বাদামের দাম ২০ টাকা। অগ্নিমূল্যের বাজারে গত ৫ বছর ধরে একই দামে তাঁরা বাদাম বিক্রি করে চলেছেন। তবে বালিতে ভাজা বাদামের চেয়ে নুনে ভাজা বাদাম সুস্বাদু হওয়ায় শিল্পাঞ্চলে এই বাদামের ব্যপক চাহিদা। (ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)
