Hooghly News: বিরাটকে প্রণাম করতে গিয়ে রাঁচির শ্রীঘরে হুগলির যুবক, কীভাবে ফেরাব ছেলেকে? চিন্তায় পরিবার
- Published by:Sudip Paul
- hyperlocal
- Reported by:Koushik Adhikary
Last Updated:
Hooghly News: খেলা দেখা নেশা। তার কাছে ভগবান বিরাট কোহলি। আর এই রকম যে হবে তা ভাবতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। ক্রিকেট আর ভগবানকে দেখবে বলে হুগলি থেকে রাঁচি চলে যায় যুবক।
h আরামবাগ: খেলা দেখা নেশা। তার কাছে ভগবান বিরাট কোহলি। আর এই রকম যে হবে তা ভাবতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। ক্রিকেট আর ভগবানকে দেখবে বলে হুগলি থেকে রাঁচি চলে যায় যুবক। টাকা জমানো নেশা। আর সেই টাকা জমিয়ে বিরাটের খেলা দেখতে গিয়ে এখন শ্রীঘরে শৌভিক । রবিবার JSCA স্টেডিয়ামের দর্শকরা খেলা দেখছিল। মাঠেই ছিলেন হুগলির আরামবাগের মধুপুর গ্রামের আদিবাসী যুবক।
advertisement
রবিবার রাঁচিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন বিরাট। তার পরেই দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়ে তাঁর পায়ে লুটিয়ে পড়েন এক ভক্ত। জানা গিয়েছে, বিরাট কোহলির সেই ভক্ত আসলে আরামবাগের পুরশুড়ার বাসিন্দা। নাম শৌভিক মুর্মু। আপাতত রাঁচি পুলিশ তাঁকে আটক করে রেখেছে। প্রিয় ক্রিকেটারকে একটিবার ছুঁয়ে দেখার জন্য বারবার চেষ্টা করেছেন পুরশুড়ার এই যুবক। তাঁর বাড়ি মধুপুর আদিবাসী পাড়ায়।
advertisement
জানা গিয়েছে, বাবা চিকিৎসক আর মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। আর খেলা দেখার নেশা তার। রবিবার মাঠে খেলা চলাকালীন মার্কো জ্যানসেনের বল থার্ড ম্যানের দিকে পাঠিয়ে যে গতিতে দৌড়ে আকাশের দিকে মুষ্টিবদ্ধ ডানহাত ছুড়ে দিয়েছেন কোহলি, তার থেকেও কয়েকগুণ দ্রুত গতিতে গ্যালারি থেকে ছুট লাগিয়েছিলেন আরামবাগের শৌভিক। আইন লঙ্ঘন করে নিজের ‘ভগবান’-এর পায়ে লুটিয়ে পড়তে দ্বিধা করেননি। মাঠ থেকেই শৌভিককে আটক করে পুলিশ।
advertisement
বর্তমানে রাঁচির শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে শৌভিকের। খবর এসেছে বাড়িতেও। গ্রামে হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা করেন বাবা সোরেন মুর্মু। রাঁচি পুলিশের ফোন আসার পর থেকেই দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। সোরেন বলেন, ইতি মধ্যেই পুলিশ ফোন করে জানাল ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকা জমিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিল। এর আগে এখান থেকে সাইকেল চালিয়ে চেন্নাই গিয়েছিল আইপিএল খেলা দেখতে। তবে ওকে কী ভাবে ফিরিয়ে আনব, বুঝতে পারছি না।’ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শৌভিকের মা সঙ্গলি মুর্মু। তাঁর কথায়, ‘ছেলে এই ধরনের কাজ করবে আগে জানলে আটকাতাম। ভুল করে ফেলেছি। এখন চাইছি ছেলে ঘরে ফিরে আসুক।"
advertisement
আরামবাগের মধুপুর গ্রামে আদিবাসী পড়ুয়া শৌভিক মুর্মু। ছোট থেকেই ক্রিকেট পাগল। পড়াশোনার পাশাপাশি সামান্য কিছু কাজ করে টাকা জমানোর অভ্যাস রয়েছে। কেননা সেই টাকা দিয়েই ভিন রাজ্যে গিয়ে কোহলি-ধোনির খেলা দেখার নেশা মাথায় চেপে বসেছে। সঞ্চিত অর্থ ও মায়ের থেকে কিছু টাকা নিয়েই বিহারের রাঁচিতে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন সৌভিক। বলা ভালো, তাঁর ‘ঈশ্বর’-কে দেখতে গিয়েছিলেন।
